ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু

‘উচ্চঝুঁকি’তে চামড়া, ‘নিরাপদ’ ওষুধ-ব্যাংক খাত

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 06-05-2023 11:45:28 pm

সার্বিক মূল্য আয় অনুপাতের (পিই) ভিত্তিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘নিরাপদ’ অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও ব্যাংক খাত। অন্যদিকে ‘উচ্চঝুঁকিতে’ চামড়া খাত। সেই সঙ্গে অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিরামিক ও প্রকৌশল খাতও ঝুঁকিতে রয়েছে।


সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি নির্ণয় করার একটি অন্যতম মাপকাঠি মূল্য আয় অনুপাত। সাধারণত ১০-১৫ পিইকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়। কোনো কোম্পানির পিই ১০-এর নিচে চলে গেলে, ওই কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত বা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ধরা হয়।


তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। এক সপ্তাহ আগে এ মূল্য আয় অনুপাত ছিল ১৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য আয় অনুপাত বেড়েছে ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।


সপ্তাহের ব্যবধানে পিই বাড়লেও চার খাতের পিই সার্বিক বাজার পিই’র নিচে রয়েছে। এ চার খাতের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক, ওষুধ, সাধারণ বিমা ও টেলিযোগাযোগ। এর মধ্যে সবচেয়ে কম পিই রয়েছে ওষুধ খাতের। বর্তমানে এ খাতের পিই রয়েছে ১১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এ খাতের পিই কমেছে।


১১ দশমিক ৯৬ পিই নিয়ে এরপরের স্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট। পরের স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতের বর্তমান পিই ১৬ দশমিক ১১ পয়েন্ট। এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ১৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, এক সপ্তাহ আগে এ খাতের পিই ছিল ১৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এ তিন খাতের পিই বেড়েছে।


বাকি খাতগুলোর পিই বাজার পিই-এর ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিই চামড়া খাতের। এ খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট।


সর্বোচ্চ পিই’র তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং খাত। এ খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৭ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতের পিই ৪২ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪১ দশমিক ৮১ পয়েন্ট।


এছাড়া প্রকৌশল খাতের পিই ৩৯ দশমিক ৭২ পয়েন্ট থেকে ৪১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের পিই ২১ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট থেকে ২৩ দশমিক ৪০ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের পিই ২২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট থেকে ২২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১৯ দশমিক ৮৩ থেকে ২২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট হয়েছে। আইটি খাতের পিই ৩২ দশমিক ৮১ পয়েন্ট থেকে ৩১ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট রয়েছে। সিমেন্ট খাতের পিই ৪২ দশমিক ১১ পয়েন্ট থেকে ২২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট হয়েছে।


ডিএসইর এক সদস্য বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পিই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডিকেটর হিসেবে বিবেচিত। সাধারণত ১৫ পিই পর্যন্ত বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়। আর কোনো কোম্পানির পিই ১০-এর নিচে নেমে গেলে কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত ধরা হয়। তবে কোনো কোম্পানির পিই ৪০-৫০ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ ৪০-৫০ পিই’র শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।


এদিকে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিই বিবেচনায় নেওয়া হয়। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ মার্জিন ঋণের নিয়ে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। শর্তসাপেক্ষে ৫০ পিই পর্যন্ত শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ দেওয়ার নিয়ম চালু করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আগে ৪০ পিই’র বেশি কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণা দেওয়া হতো না।


নতুন নির্দেশনা অনুসারে, টানা তিন বছর ধরে ‘এ’ গ্রুপে অবস্থান করা যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি, সেসব কোম্পানির শেয়ারে মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে। এ ধরনের শেয়ারকে মার্জিনেবল শেয়ার হিসেবে বিবেচনা করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব কোম্পানি ছাড়া অন্য সব কোম্পানির শেয়ার আগের মতই ৪০ পিই পর্যন্ত মার্জিন ঋণ পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরও খবর


684da0fea0620-140625101910.webp
দেশে সোনার দামে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ

১ দিন ১৮ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে





683bfac12f881-010625010121.webp
কমলো জ্বালানি তেলের দাম

১৫ দিন ৪ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে