গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার

কেনো অনগ্রসর ছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুরের মানুষগুলি?

..একটি  কৃষক পরিবার  আর্থিক অনটনে থাকলেও কয়েক বছর  পর কৃষকের ছেলেগুলি যখন বড় হয় এবং কর্মক্ষম হয়, তখন পরিবারটিতে  আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসে। কয়েক বছর  পরে, যৌথ পরিবারটি যখন ভেঙ্গে যায় তখন নতুন অনুপরিবারগুলিতে  আবার নেমে আসে আর্থিক অভাব-অনটন।  গ্রাম সমাজে  কৃষি অর্থনীতিতে  এরূপ উত্থান-পতন প্রক্রিয়া চক্রাকারে চলতে থাকে। নজর এড়ায়না সমাজবিজ্ঞানীদের,  এক পাকিস্তানী সমাজবিজ্ঞানী এর নাম দিলেন 'সাইক্লিক্যাল কুলাকিজম'। সে যা হোক- হরিচাঁদ ঠাকুরের(১৮১২-১৮৭৮) মানুষগুলি ছিল এর থেকেও আরও বেশি বিপাকে। কারন তখন বাংলা ছিল প্রচন্ডভাবে ব্রাহ্মণ্যবাদের শিকার। এরই প্রভাবে পরিবারে কঠোরভাবে অনুষ্ঠিত হত  শ্রাদ্ধ, মৃত্যুভোজ, বিবাহভোজ, অন্নপ্রাশন, শনিপুজা, দোষকাটা পুজা, চিকিৎসার নামে বিভিন্ন বৈদ্য  খরচ-খরচা, রোগমুক্তির পুরষ্কার ইত্যাদি ইত্যাদি। মরা-ছাড়া, বন্যা বা খরায় ফসলহীনতা, পণের টাকা যোগানো  এ সবেও পরিবারগুলি আর্থিকভাবে ভেঙ্গে পড়তো। দরিদ্রতা ছিল তাদের  নিত্য সঙ্গী।  এ ধরণের মানুষ ও পরিবারগুলি সহজে বিভিন্ন কুসংস্কারে জড়িয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক।


অর্থ-সম্পদে নিম্ন অবস্থানে থাকা কম আয়ের মানুষ সাধারনত যারা কৃষি পেশা অবলম্বন করে জীবন অতিবাহিত করে তারাই আজকের প্রসঙ্গে অনগ্রসর। হরিচাঁদ ঠাকুরের দৃষ্টি এই শ্রেণির দিকে  আগে পড়ে।  অনগ্রসর এই  জাতি-সম্প্রদায়টি  বেদ-বিধির সুফল থেকে বঞ্চিত। পূজার্চনা বলতে   এরা কিছু প্রাকৃতিক পূজাকর্ম করতো। এক কথায় যে গুলিতে পুরোহিত লাগতো না। সার্বজনীন পূজা পাটে অংশ নিলেও তারা ছিল পেছনের সারিতে। সমাজে তখন প্রবল বর্ণাশ্রম প্রথা কার্যকরী। ইংরেজরা এসে গেছে।  তা না হলে কতদূর যে গড়াতো তার অনুমান করা কঠিন। সতীদাহ প্রথা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে বন্ধ ঘোষিত হলো ১৮২৯ সালে।  হাজার বছরের নিশ্চল 'স্বয়ং সম্পূর্ণ গ্রাম সম্প্রদায়' প্রতিষ্ঠানটি ভাঙতে বসেছে।    ইংরেজরা হয়তো কিছু আইনের পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু হিন্দু সমাজের স্থায়ী বিষয়গুলিতে তাদের কিছু করার নেই, বর্ণবাদের সুযোগে খৃষ্টান করা ছাড়া।  বলে রাখা ভাল, হরিচাঁদ ঠাকুর কিন্তু ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ছিলেন। কৃষক বিদ্রহে তাঁর এলাকায় তার বড় প্রমান আছে।  হরিচাঁদ ঠাকুর অবশেষে এই শোষিত, বঞ্চিত, অবহেলিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন  অনগ্রসর শ্রেণির অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির জন্য তাঁর সমস্ত  দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন। গঠন করলেন মতুয়া নামের ধর্মীয় সম্প্রদায়।  তাঁর অনুসারী অগণিত  মতুয়া ভক্তদেরকে তিনি সূক্ষ্ণ সনাতন ধর্ম পালনের উপদেশ দিয়ে গেলেন।

লেখক : প্রণব মন্ডল, শিক্ষার্থী ; খুলনা ইউনিভার্সিটি।

Tag