টানা দু'দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত পানি প্রবাহে তিস্তার ভাটিতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৩ টায় তিস্তার পানি প্রবাহ ডালিয়া পয়েন্ট-পানির সমতল ৫২.২২ মিটার (বিপৎসীমা ৫২.১৫ মিটার) যা বিপৎসীমার ৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের ৫ টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার। সেই সাথে চরম বিপাকে পড়েছে গবাদি পশু-পাখি আর মৎস্য খামারিরাও।
পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নদীপাড়ের অধিকাংশ পরিবারের সুপেয় পানির টিউবয়েল পানির নিচে ডুবে গেছে। মাচাং বানিয়ে তাতে রান্না করছেন নারীরা। এক বেলা রান্না করে চালিয়ে নিচ্ছেন ২/৩ বেলা। মাচাংয়ের ওপর পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিস্তা পাড়ের পানিবন্দি পরিবারগুলো।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার এলাহী বকস বলেন, গতরাত থেকে পানি বাড়ছে। এতে কারও কারও ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। গবাদি পশুপাখি আর শিশু বৃদ্ধদের নিয়ে উঁচু স্থানে এসেছি। রাত হলে আবার মাচাংয়ের ওপরে বসে বসে রাত কাটাতে হবে। সাপের ভয়ে আর ছোট বাচ্চারা পানিতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে রাত জেগে থাকতে হচ্ছে।
লালমনিরহাট ত্রাণ শাখা জানান, তিস্তা নদীর পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য সরকারিভাবে ৪৫০ টন চাল ও নগদ ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরো বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য উপরে চিঠি পাঠিয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যা বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জেলার ৫ উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সরকারিভাবে ৪৫০ টন চাল ও নগদ ৭ লক্ষ টাকা পানিবন্দি পরিবারের জন্য দেয়া হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। সূত্র: দৈনিক সাহস
১ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে