সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এক জনাকীর্ণ আদালতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল আজিজকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ রবিবার দুপুরে এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামী আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। আসামী আব্দুল আজিজ সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের এন্তাজ সরদারের ছেলে।সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহরুল হায়দার বাবু জানান, দীর্ঘ ২৪ বছর পরে আসামীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশে খুশি।
দাবিকৃত যৌতুকের ৮০ হাজার টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রী রেহেনা পারভীনকে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী সাতক্ষীরার সুলতানপুরের আব্দুল আজিজ। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শওকত আলী সরদার পরদিন বাদি হয়ে আব্দুল আজিজ, তার ভাই রুহুল কুদ্দুসসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৮ সালে আসামী আব্দুল আজিজ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (ক)। ধারায় অভিযোগ গঠণ করা হয়। পরবর্তীতে আসামী রুহুল কুদ্দুস মারা যান। আসামী আজগার আলীও পলাতক থাকেন। মামলার নথি, ১২ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামী আজগার আলীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচার এমজি আযম তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
১০ মিনিট আগে
২৭ মিনিট আগে
২৮ মিনিট আগে
৩২ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে