আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস আজ (বুধবার)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনুযায়ী, যারা আদিবাসী বলে দাবি করছে তারা এখানকার আদি বাসিন্দা নয়। তারা হচ্ছে এ ভূখণ্ডের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী।
দেশের জনশুমারি অনুযায়ী, দেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থাকলেও কোনো আদিবাসী নেই। সবশেষ ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী দেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৫০ হাজার ১৫৯ জন। এ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকাংশের বসবাস পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য কিছু কু-চক্রী মহল বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করে আসছে। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্বে জন্য হুমকি এসব চু-চক্রী মহল। এসব কু-চক্রী মহলের অধিকাংশই পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে থাকা কিছু গ্রুপ।
তবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, দেশে কোনো আদিবাসী নেই। যারা নিজেদেরকে আদিবাসী হিসেবে দাবি করেন তারা আসলে বিভিন্ন দেশ থেকে এসে চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ।
অন্যদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে— উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা নৃ-গোষ্ঠীকে যেন কোনোভাবে গণমাধ্যমে আদিবাসী হিসেবে উপস্থাপন করা না হয়। এছাড়া ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল’ হিসেবে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের মানুষেরা কোনোভাবেই আদিবাসী নয়। তারা আসলে মিয়ানমারসহ বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে এদেশে এসে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, দেশে যেসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নিজেদেরকে আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিতে চায়, তারা মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসে এখানে বসবাস করছে। আদিবাসী বলতে যা বোঝায় তারা সেটা নয়। এছাড়া সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও শান্তিচুক্তি অনুযায়ী কাউকে আর আদিবাসী বলার সুযোগ নেই।
তবে এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা নিজেদের আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টার পেছনে রয়েছে রাষ্ট্রবিরোধী ভয়ংকর ষড়যন্ত্র। সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা নিজেদের আদিবাসী হিসেবে উপস্থাপন করার মূল কারণ হচ্ছে, পার্বত্য অঞ্চলকে দেশ থেকে আলাদা করা।
কারণ তারা যদি নিজেদেরকে আদিবাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলকে আলাদা স্বায়ত্তশাসন অঞ্চল বা রাষ্ট্র বানাতে আন্তর্জাতিক মহলের ইতিবাচক সাড়া পাবে। এছাড়াও আদিবাসী হিসেবে তারা স্বীকৃতি পেলে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সুযোগ সুবিধা যেমন আরও বেশি পাবে, তেমনি পার্বত্য অঞ্চলে দেশের অন্যপ্রান্তের মানুষ যেতে লাগবে তাদের অনুমতি।
১৫ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১৮ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
২০ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
২৩ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১ দিন ২ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে