শুধু বিদ্যুৎতের খেলাই দেখিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যুৎ মানব আয়নাল মিয়া। বিদ্যুৎ মানব হিসেবে সরকারী স্বীকৃতি ঘোষণা দাবী করছেন আয়নাল মিয়া। জীবন বাজি রেখে প্রতিদিন খোলার মত দেখান তিনি।একটু এদিক সেদিক হলেই যেখানে মৃত্যু নিশ্চিত, সেখানে খালি হাতে বিদ্যুৎতের প্রধান লাইন থেকে কয়েকশত ভোল্ট বিদ্যুৎ নিজের শরীরে সঞ্চালিত করে বিদ্যুৎ খেলা দেখায় আয়নাল মিয়া। আয়নাল মিয়ার বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের দোকানটুলা গ্রামে। এক সময় তাকে সবাই বিদ্যুৎ মানব হিসেবে চিনতো না।বর্তমানে এলাকাবাসী সবাই তাকে ‘বিদ্যুৎমানব আয়নাল’ বলে চিনে ও জানে। আয়নাল মিয়া বানিয়াচং উপজেলা সদরের দোকানটুলা গ্রামের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।বিদ্যুৎ নিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে ভয়ংকর এ সব খেলা দেখিয়ে এলাকাবাসীর কাছে বিদ্যুৎ মানব হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি। এক স্ত্রী, ৪ কন্যা ও ২ পুত্র
আছে তার।গত ২ যুগ ধরে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। হঠাৎ এক সময় তিনি বুঝতে পারেন বিদ্যুতের স্পর্শে তার কোনো ক্ষতি হয় না। বর্তমানে টেষ্টার কিংবা গ্লাভস ছাড়াই স্থানীয় বাসা-বাড়িতে এমন কি মেইন তারেও বিদ্যুতের কাজে কোন ধরনের ক্ষতি হয়নি।আয়নাল মিয়া বিদ্যুতের তার নিজের শরীরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো ও ডিম সিদ্ধ করে দেখিয়েছেন তিনি। বৈদ্যুতিক মেইন খুঁটিতে বিদ্যুৎ শক্তি ২২০ অথবা ৪৪০.এ প্রধান (মেইন) লাইনের নেগেটিভ-পজেটিভ ক্যাবলে দুই হাত দিয়ে ধরে বাতি জ্বালানোর মতো ভয়ংকর কাজ করে দেখান।তার জীবনে অনেক এরকম কাজ করিয়ে ও অনেক মানুষ কে রক্ষা করেছেন বলে জানায় এলাকাবাসী ও সচেতনমহল। আয়নালের ভয়ঙ্কর কীর্তিকলাপ দেখে এলাকাবাসী হতবাক হয়েছেন। এ রকম কাজ দেখে একেবারে অসম্ভব, সে কাজ কীভাবে আয়নাল মিয়া করেন। আয়নাল মিয়ার এ ধরনের কাজ স্বচক্ষে দেখে ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত বিষ্ময় প্রকাশ করেছে।মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ৬ সন্তানের জনক আয়নাল মিয়া পরিচিত- অপরিচিত সকলের কাজ করতে এগিয়ে আসেন তিনি।বিগত ২০১৬ সালের ১২ মার্চ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীর নিকট সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন।হবিগঞ্জ সদর আসনের এমপি এডভোকেট আবু জাহির ও স্হানীয় বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ আসনের এমপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের সুপারিশ থাকার পর ও আজ পর্যন্ত কোন সহযোগিতা মিলেনি। অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন,এমন চেষ্টা কেউ করলে নির্ঘাত বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যাবে।তবে তাকে এসব কাজ থেকে ফেরাতে কর্মসংস্হানের ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি রইলো। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ এর হবিগঞ্জ জেলা কো-অর্ডিনেটর ও ইউনিকেয়ার এনজিও চেয়ারপার্সন সাংবাদিক কামরুল হাসান কাজল বলেন,আয়নাল ভাই দুই ফেজে ধরে নিজের শরীরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে তাও আবার ২২০ ও ৪৪০ ভোল্টের মেইন লাইনে এটা কী ভাবে করে তা ভেবে পাই না।ঘটনাটি আশ্চর্য জনক। মনে হয়,শরীরের হরমোনাল কোন কারণে এমন হতে পারে। এব্যাপারে আয়নাল মিয়া বলেন, আমি বিদ্যুৎ মানব হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই এবং আমাকে কর্মসংস্হান দিলে সরকারের লাভ ও হতে পারে।
৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে