পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, যা জানাল ইরান ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরেক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ড্র করল বাংলাদেশ ‌জয় ইরানেরই হবে, স্পষ্টভাষায় জানালেন এরদোয়ান ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান বাংলাদেশের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকবে কি না সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের: ড. ইউনূস জয়েন্টের ব্যথা কমাতে কালিজিরা তেল আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না বাংলাদেশে চালু হচ্ছে গুগল পে জয়পুরহাটে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট শেরপুরে নাগরিক প্লাটফর্ম সক্রিয়করণ বিষয়ক ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর ৪ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার ‎জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে সিরাজদিখানে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ‎ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চোরকে চিনে ফেলায় নৃশংসভাবে নারীকে হত্যা; ঘটনার ২০ ঘন্টার মধ্যে ক্লু-লেস এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন মধুপুরে বিএনপি'র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ঘাটাইলে বৃদ্ধ মহিলাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট বেগমগঞ্জে চুরি করতে এসে নারীকে জবাই করে হত্যা,গ্রেপ্তার-২ কিশোর নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার টাঙ্গাইল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামীম, মহব্বত সাধারণ সম্পাদক অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে থাকব: ফখরুল

উপকূলের নিষিদ্ধ জোনে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে

কক্সবাজার উখিয়ার উপকূলে ইকো ক্রিটিক্যাল জোনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এসব স্থাপনা ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। মানা হচ্ছে না পরিবেশ ও ইমারত আইন। যার ফলে প্লাষ্টিক ও অপচনশীল বর্জ্যরে কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।


সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমাংশে ছোট-বড় এরকম একাধিক স্থাপনার চিত্র। এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যরে কারণে দিন দিন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আইন-কানুনের তোয়াক্ষা না করে সৈকতে এসব স্থাপনা নির্মাণ করছে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের মালিক শফিকুর রহমান। তিনি এসব দোকান প্রতি ২/৩ লক্ষ টাকা করে আদায় করছে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানদার। সেই সাথে দোকান প্রতি মাসিক ২ হাজার টাকা ভাড়াও দিতে হয়।


এ বিষয়ে জানতে স্থাপনা নির্মাণকারী শফিকুর রহমানের সাথে তার ব্যবহৃত ০১৭১১২১৭৯৬৬ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০১০ সালে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিমপার্শ্বে রেজু ব্রীজ থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ইকো ক্রিটিক্যাল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। যদি কোন জোত জায়গা থেকে থাকে তাহলে পরিবেশের ছাড়পত্র নিয়ে করতে হবে।


তিনি এও বলেছেন, সরকারি নিয়ম-কানুন কেবল কাগজে আছে, বাস্তবে এর দেখা মেলে না। সৈকতের নিষিদ্ধ জোনে এভাবে স্থাপনা নির্মাণ হলে পুরো উপকূল অবৈধ দখল হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। সেই সাথে পরিবেশের মারাত্মক ভাবে বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।


উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর আলম, ভৌগলিক কারণে এই অঞ্চলের মানুষ একটি পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। তৎমধ্যে সৈকত এ ধরণের স্থাপনা নির্মাণ উচিত হচ্ছে না। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।


উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সালেহ আহমদ বলেছেন, সৈকতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণে বিধি নিষেধ রয়েছে। যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি হয়, তাহলে পরিবেশ আইন মেনে অস্থায়ী ভাবে স্থাপনা করা যেতে পারে।


তিনি আরো জানিয়েছেন, সৈকতের ওই স্থানে ইতোপূর্বে ইউএনও স্যারসহ কয়েকবার এসব স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag