তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

লাল টগবগে জাম ও রিমন

লাল টগবগে জাম ও রিমন

সায়েন্স ফিকশন 

লাল টগবগে জাম ও রিমন 

ইমরানুল হাসান 


রিমন একটা ভলো টাইপের ভদ্র ছেলে।এলাকার সবাই থাকে খুব ভালোবাসে,সে ও সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সারা দিন সে ভালো ভালো কাজ করে।একদিন সে ইকামতে দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্য সে আসরের পরে বের হয়েছিল। হঠাৎ তার চোখে পড়লো কয়েকটা লাল টগবগে জাম।যা একই সঙ্গে দেখতে খুবই চমৎকার। রিমন কিছুক্ষণ সেই জাম গুলোর দিকে থাকিয়ে রইল। তখনই সে দেখতে পেল এর মধ্যে একটা খুবই অদ্ভুদ জাম। হঠাৎ জামটি হালকা নাড়া দিলো।জামটি হঠাৎ নড়তে নড়তে বড় হতে লাগলো একসময় এটি জাহাজ আকৃতি ধারণ করল।রিমন কিছুটা ঘাবড়ে গেল।তবে তার মনের ভিতর একটা কৌতুহল জাগ্রত হলো তার।ওই সময় সে দেখলো একটা নীভাল আলো তার উপর এসে পড়ল।আর তখনি সে উপরে হেঠে যেতে শুরু করে। কতসময় বাদে সে নিজেকে জাহাজ আবিস্কার করে। 

সেখানে দারুণ ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে ছিল।হঠাৎ সে দেখতে পেল এই মূর্তিটা তার দিকে আসতে থাকে।তখনি রিমন পিছিয়ে গেলেই লক্ষ করে যে,কোনো ভাবেই জায়গা থেকে সরতে পারছেনা নিজেকে।তার কপালে প্রচন্ড ঘাম জমতে লাগল।ছায়ামূর্তি টি তার সামনে এসে হাজির হলো।সে দেখল এটি শুকিয়ে শুটকি হয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ দেখলো শুকিয়ে যাওয়া মানব শিশুর মতো,শুধু মাথাটা অস্বাভাবিক রকম।আর হাত পায়ের আঙ্গুল গুলো লম্বা লম্বা।সেটি তার চোখের দিকে তাকাল আর তার মেরুদণ্ড বরাবর শীতল প্রবাহ বয়ে গেল।ছায়ামূর্তি টি তার উদ্দেশ্য বলল রিমন তোমাকে স্বাগতম,তুমি ভয় পাইয়ো না।

রিমন সঙ্গে বিপদ আঁচ করলো।কিন্তু সে বুঝতে পারলো তার বলার ক্ষমতা নাই।ধীরে ধীরে তার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।হঠাৎ তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে আর সে ঢলে পরে।কিন্তু আশ্চর্য সে দাঁড়িয়ে গেল।

রিমন ঠিক তখনি চোখ খুলে উঠে বসে বেডরুমের বিছানায়। তার অন্তরে হেমার পিঠানোর মতো আওয়াজ করছে।তখন তা বন্ধ হয়ে গেল! তার সামনে ছায়ামূর্তি টি দাঁড়িয়ে আছে আর তার মস্তিষ্ক কাজ করতে বন্ধ হয়ে গেল।

তবে এবার রিমন অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করলো।সে বুঝতে পারলো এভাবে বারবার তার উপর বিপদ আসলে সে কখনো নিজেকে সামলে নিতে পারবেনা।উল্টো বিপদ থাকে আরো অনেক পরিমান গ্রাস করবে।

তাই সে অতি শিগগিরই গতিতে ছায়ামূর্তি টির মাথা বরাবর স্বজোরে গুসি মারতে পারে।কিন্তু সে অবাক চোখে দেখলো মূর্তিটির কিছুই হলো না বরং তার হাতে অনেক ব্যাথা পেয়েছে।

রিমনের হঠাৎ করে মনে পড়ে যায়, সায়েন্স ফিকশনের বইয়ে পড়া গল্পের কথা।সে বুঝতে পারলো, সে একটি পরীক্ষাগারে বন্দী।ছায়ামূর্তি টি তার উপর এক্সপেরিমেন্ট করেছে!

এর মানে, সে এতক্ষণ যা করেছে ভেবেছে সব ছায়ামূর্তিটি বুঝতে অসুবিধা হয় নি?

আর বুঝর জন্যই তো  এতো এক্সপেরিমেন্ট তার কাছে!

তাই সে এবার চোখ বন্ধ করে ফেলল।সে ধীরে ধীরে বলল আমি জানি তুমি কি চাও।তুমি কি করছো তা ও জানি।তুমি এখন আমার কিচ্ছু করতে পারবেনা।ভালো চাও তো সব আগের মতো করে ফেলো... নইলে খুব ভালো হবে না? 

এবার মনে হয় কাজও হলো।সে দেখলো,রিমনের চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে। সে নিজেকে একটা সবুজ বৃত্তর মধ্যে আবিষ্কার করে।


বাকিটুকু বলার আগেই রিমন এক-দুএক পলকে একটি বিরাট হলঘরে নিজেকে দাঁড়ানো অবস্থাতে আবিস্কার করার চেষ্টা করলো?

সে পিছনে ফিরে থাকিয়ে দেখলো একজন সু দক্ষ যুবক তার পাশে দাড়িয়ে আছে।মুখে মৃদু হাসি।কিন্তু রিমনের অতো অভিজ্ঞতার পর সে আর ভুল না করার জন্য সচেতন হয়ে উঠলো! এটিয়ো ছিলো তার উপর এক্সপেরিমেন্ট এর একটা অংশ।

তাই সে ছায়ামূর্তি আর আর কখনো তোমার এসব ভিভ্রান্তিতে আমি যোগ দিবো না।

তাই অযতা সময় নষ্ট করে কী লাভ? এসব ছেড়ে দাও। 

সে অনুভব করে যে, সে ধীরে ধীরে নিচে নামতা শুরু করেছে।সে ওপরে তাকিয়ে দেখলো,জাহাজটি স্হির হয়ে আছে আকাশের ধীকে থাকিয়ে।নিচে থাকাল সে দেখলো তার বাড়ির ঠিক ছাদের ঐ পাশে এসে নামালো। বালুকাময় মাঠিতে তার পা পড়তেই একটা ভালো বাতাস বয়ে এসেছে। সে ফিছনে ফিরে থাকিয়ে দেখলো জাহাজ টি তার পাশ থেকে হঠাৎ মিলিয়ে উধাও হয়ে গেল।রিমনের চোখ বন্ধ হয়ে আসলো। কারো শরীরের স্পর্শ বা ছোয়া পেয়ে রিমন পালদিয়ে জেগে উঠে। দেখলো তার আম্মু রাগী চোখে চেয়ে আছেন।বলল, কী?মানুষটির ঘুম ভাঙ্গলো এতক্ষণে? তার কালকে বাইরে থেকে হঠাৎ তোর ঘরে কীভাবে আসলো?

শেষমেশ কথাটি শুনে রিমনের সকল কিছু মনে পরে গেল।তার শরীরের মেরুদণ্ড বরাবর আবার শীতল হতে লাগলো। 


ইমরানুল হাসান 

পাগলা বাজার ৩০০১,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ( শান্তিগঞ্জ) সুনামগঞ্জ,সিলেট,বাংলাদেশ। 

মোবাইল নংঃ-০১৭০৬০৭২৬৯৪ হোয়াটসঅ্যাপ

০১৯৭৮৬০৩১২০


Tag
আরও খবর