কামরুল হাসান কাজল, স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেটের সাবেক সাবরেজিস্টার পারভীন আক্তার দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারের ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার মামলায় বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। জানা যায় যে,গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।দুদক সিলেটের আইনজীবী লুৎফুর কিবরিয়া শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ‘কোম্পানির জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে একই দিনে ১২টি দলিল সৃষ্টি করা হয়। তাতে সরকার ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় পারভীন আক্তার পলাতক ছিলেন।’মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে সিলেট সদর অফিসে কর্মরত ছিলেন সাবরেজিস্ট্রার পারভিন আক্তার। তখন একটি কোম্পানির নামে থাকা ১৫ একর বাড়ি শ্রেণির ভূমিকে ব্যক্তি মালিকানা ও টিলা শ্রেণি দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রে ১২টি দলিল রেজিস্ট্রেশন করে দেন তিনি।বিষয়টি জানতে পেরে কোম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজারুল আলম চৌধুরী ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ২২ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় দলিলদাতাকে প্রধান ও সাবরেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে ২ নম্বর আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।মামলায় উল্লেখ- ২১ জন বিবাদীর যোগসাজশে পারভিন আক্তার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারের ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। মামলার পর আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের ভার দেন।২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় তিনজন আসামি আদালত থেকে জামিন নিলেও পারভিনসহ বাকি ১৮ জন আসামি পলাতক ছিলেন।সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে পারভিনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।
৩ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে