ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু

নিরাপত্তার জন্য তৈরি হচ্ছে দুই থানা ও পাঁচটি ফাঁড়ি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের নিরাপত্তার জন্য দুটি থানা ও পাঁচটি পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। কোথায় কোথায় থানা ও ফাঁড়ি হতে পারে এবং এর লোকবলের হিসাবও দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।


১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ ‍উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর নিরাপত্তা ও সার্বিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে থানা ও ফাঁড়ি নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ের সহকারী পুলিশ সুপার ঊর্মি দেব। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় তাঁরা।


চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন দুই থানার নাম হবে দোহাজারী ও কক্সবাজার রেলওয়ে থানা। অর্থাৎ দোহাজারী স্টেশন ও কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনের পাশে এ নতুন দুই থানা হবে। পাঁচ ‍ফাঁড়ি হবে চকরিয়া, রামু, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও পটিয়া স্টেশনের পাশে। সূত্র বলছে, মূল রেলপথ নির্মাণ শেষ হওয়ার পর থানা ও ফাঁড়ি নির্মাণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপরই মূলত তড়িঘড়ি করে থানা ও ফাঁড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয় এবং সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়।


চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী ছুটিতে রয়েছেন। ছুটিতে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পে দুটি থানা ও পাঁচটি ফাঁড়ি নির্মাণের পরিকল্পনায় ছিল না। থানা ও ফাঁড়ি নির্মিত না হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’ তিনি জানান, এ-সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে প্রধান করে পরিবহন, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক, ভূসম্পত্তি বিভাগের প্রতিনিধিও কমিটিতে রয়েছেন। রেলপথ উদ্বোধনের আগে কমিটির সদস্যরা থানা ও ফাঁড়ির জায়গা নির্ধারণ করতে প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।


রেলওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক ভ্রমণ করবেন। বিদেশিরাও ভ্রমণ করবেন। তাই ট্রেনে নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কক্সবাজার মাদকের হাব হিসেবে পরিচিত। নিরাপত্তার ঘাটতি থাকলে ট্রেনে মাদকদ্রব্য পাচারের অবারিত সুযোগ থাকবে। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।


ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, চট্টগ্রামে বর্তমানে একটি রেলওয়ে থানা রয়েছে। যেটি চট্টগ্রাম স্টেশনের পাশে। এখন যে দুটি থানা হবে, সেটির আকারও নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের রেলওয়ে থানাটির আওতা হবে বোয়ালখালীর কালুরঘাট সেতুর আগপর্যন্ত। দোহাজারী স্টেশনে রেলওয়ের যে নতুন থানার প্রস্তাব, সেটির আওতা কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশ থেকে লোহাগাড়ার চুনতি পর্যন্ত। অন্যদিকে কক্সবাজার স্টেশনের পাশে হতে যাওয়া নতুন থানার আওতা চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ফাঁড়ি ও নতুন থানা নির্মাণের খরচ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের অধীনে হবে। অর্থাৎ নির্মাণ খরচ আসবে প্রকল্প থেকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু জনবল দেবে। জনবলের মধ্যে একটি থানায় থাকবেন একজন ওসি, একজন তদন্ত কর্মকর্তা, ৬ থেকে ৮ জন উপপরিদর্শক, কয়েকজন সহকারী উপপরিদর্শক আর বাকিরা কনস্টেবল।


তথ্যমতে, ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পায় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

Tag