ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে জনতার ঢল! ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত সাবেক সংরক্ষিত এমপি’র বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবা-অস্ত্রসহ পুত্র আটক সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আজম কারাগারে কালাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চিকন আলী নামে এক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা নেতানিয়াহুর জন্য বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে পীরগাছায় মশাল মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় লালপুরের যুবকের মৃত্যু

আজ সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধের ১৯৪ বছর

Md Nazmul Hasan ( Contributor )

প্রকাশের সময়: 04-12-2023 04:52:38 am

১৯ শতকের চিতকলায় সতীদাহ প্রথা

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।


তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। 


ঠিক তেমনি ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ করা হয়।


সতীদাহ প্রথা ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোনো সদ্য বিধবা নারীকে স্বামীর চিতায় সহমরণ বা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করার এক অমানবিক প্রথা। মূলত এই প্রথাটি ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় হত্যাকাণ্ড। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির দখল নিতে এবং পারিবারিক মানসম্মান নষ্ট হওয়ার ভয় থেকে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা সদ্য বিধবা হওয়া নারীকে জোর করে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারতেন।


রাজা রামমোহন রায় ১৮১২ সালে সতীদাহবিরোধী সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। ১৮২৮ সালে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর হয়ে আসলে রামমোহন রায় তার কাছে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য আবেদন করেন। সতীদাহ প্রথা নিয়ে লর্ড বেনটিংক, যিনি সেসময় বাংলার গভর্নর জেনারেল ছিলেন, ৪৯ জন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা এবং পাঁচজন বিচারকের মতামত নিয়েছিলেন। এরপর তিনি মনস্থির করেন “ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ওপর কালিমা লেপনকারী” এই প্রথা বাতিলের সময় এসেছে। ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে আইন পাস করেন লর্ড বেন্টিঙ্ক।


তার জারী করা আইনে বলা হয় “সতীদাহ হলো মনুষ্য চরিত্রের মৌলিক অনুভূতির চরম বিরুদ্ধ একটি প্রথা” এবং অনেক হিন্দুও এটিকে “বেআইনি এবং জঘন্য” বলে বিবেচনা করেন।


আইনে বলা হয় হিন্দু কোনো বিধবাকে পোড়ানোর জন্য জবরদস্তি করা বা ঐ কাজে সাহায্য অথবা উসকানি দেওয়ার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে পরোক্ষ হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। এমনকি কোনো বিধবা যদি স্বেচ্ছায় সতীদাহ করতেও চায়, তাহলেও সতীদাহের সাথে যে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।


অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয় আদালতকে।


তবে আইনটি জারির পর, রাজা রামমোহন রায়ের নেতৃত্বে ৩০০ সুপরিচিত হিন্দু সমাজ সংস্কারক লর্ড বেনিটংককে ধন্যবাদ দেন। তাদের বিবৃতির ভাষা ছিল, “সজ্ঞানে নারী হত্যাকারী হিসাবে যে দুর্নাম আমাদের চরিত্রের সাথে জুড়ে গিয়েছিল তা থেকে চিরতরে আমাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।“

আরও খবর



681f5098c2db0-100525071152.webp
স্বাধীন গণমাধ্যম: সমাজের আয়না

৩৬ দিন ৭ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে


deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

৫৮ দিন ১৫ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে




deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

৬৯ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে