ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে জনতার ঢল! ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত সাবেক সংরক্ষিত এমপি’র বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবা-অস্ত্রসহ পুত্র আটক সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আজম কারাগারে কালাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চিকন আলী নামে এক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা নেতানিয়াহুর জন্য বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে পীরগাছায় মশাল মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় লালপুরের যুবকের মৃত্যু

ডিম পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগি চড়া দামে বিক্রি, বেড়েছে আদা-রসুনের দাম

ফের ডিম, পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিম ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা। আর প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে খরচ হচ্ছে ২০০ টাকা। এছাড়া নতুন করে বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। ফলে এসব পণ্য কিনতে বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে ভোক্তাকে। বাজারে গিয়ে উঠছে নাভিশ্বাস। সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গত বছরের নভেম্বরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা বিক্রি হলেও ডিসেম্বরে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে দেশি জাত বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমে চলতি বছর জানুয়ারিতে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার খরচ করতে হয়েছে ৯০-১০০ টাকা। আর সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দাম বেড়ে সোমবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায় ১২০-১৩০ টাকায়।

রাজধানীর নয়াবাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারে ১৫ দিন ধরে পেঁয়াজের দাম ফের বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। সরবরাহ সংকটের কথা বলে বিক্রেতারা হুহু করে দাম বাড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে রমজান ঘিরে বাড়তি মুনাফা করতে তারা কারসাজি করছে। তাই এখনই পাইকরি পর্যায়ে তদারকি জোরদার করা দরকার।

রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শংকর চন্দ্র দাস বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ শেষ। হালিকাটা পেঁয়াজ না আসায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে হালিকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলেই দাম কমে যাবে। এখানে রোজা ঘিরে কারসাজির কোনো কারণ নেই।

রাজধানীর খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হয় ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে একই দাম ছিল। তবে দুই সপ্তাহ আগে ক্রেতা ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে পেরেছে।

রাজধানীর কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. সামীম বলেন, বাজারে শান্তি নেই। যে টাকা নিয়ে বাজারে আসি, তা দিয়ে তালিকার সব পণ্য কিনে বাড়ি ফিরতে পারি না। কম করে কিনলেও কিছু না কিছু পণ্য না কিনে বাড়ি ফিরতে হয়। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারলেও এখন ফের ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই মুরগির মাংস দিয়ে আমিষের চাহিদা মেটাব, তাও কপালে নেই। 

কারণ, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। আর দেশি মুরগিতে হাতই দেওয়া যাচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও দাম অনেক বেশি। ভরা মৌসুমেও কিনতে হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তাই বাজারে এলে আমাদের মতো কম আয়ের মানুষের এখন নাভিশ্বাস ওঠে। দেখার যেন কেউ নেই।

বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে আদা ও রসুনের দাম ফের বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ২৩৫-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

পাশাপাশি প্রতি কেজি দেশি আদা ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি ভালো মানের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা, যা এক মাস আগেও ৯০ টাকা ছিল। 

খুচরা বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৬০ টাকা ছিল। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও একই দাম ছিল। পাশাপাশি প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। 

ভোজ্যতেলের মধ্যে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, যা সাতদিন আগে ছিল ১৬৫ টাকা। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৩-১৭৪ টাকা, যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। এছাড়া পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা সাতদিন আগে ১৩৫ টাকা ছিল।

সোমবার বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বাজারে অভিযান চলমান আছে। কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে কারণে কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই পণ্যমূল্য সহনীয় করতে ইতোমধ্যে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে রোজার আগেই পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

Tag
আরও খবর






683bfac12f881-010625010121.webp
কমলো জ্বালানি তেলের দাম

১৪ দিন ১৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে