তিনি ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি শুরু করেন।বিভিন্ন ম্যাগাজিন, মাসিক পত্রিকা সহ আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় তার প্রবন্ধ-নিবন্ধ, গবেষণা ধর্মী লেখা গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া তিনি অসংখ্য কিতাব অনুবাদ ও রচনা করেন। বিশিষ্ট লেখক,অনুবাদক ও গবেষক অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুর রহমান এর অনুদিত ও লিখিত বইসমূহ-প্রকাশিত: ইসলাম ও খৃষ্টবাদ, ত্রি-রত্ন সেমিনার: প্রতিবেদক, রেফাঈয়া তরীকতের মূলনীতি, গাউছুল আযম খুলনবী (রহ), চারজন বরেণ্য রেজভী গবেষক, মুহাদ্দিসে আযমে পাকিস্তান(রহ), দাওয়াতে খাচ, খন্দানে রেজভীয়া: পরিচিতি, প্রাচ্যবিদগণের নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতিত্ব, তরীকতের বিধানাবলীরর মর্মকথা, মাতা-পিতার হক গ্রন্থ পরিচিতি ও লেখক পরিচিতি, হাদীস শাস্ত্রের ইতিহাস, জশনে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম, মুফতী সৈয়দ আমীমুল ইহছান (রহ)'র গ্রন্থবলী, অনুবাদ: আল অজীফাতুল কারীমাহ (মূল: ইমাম আহমদ রেযা খান), মি'রাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম, মাশায়েখে কাদেরীয়া রেজভীয়া:পরিচিতি, মুফতী সৈয়দ আমীমুল ইহছান (রহ) আধ্যাত্মিক জীবন, সংক্ষেপে সীরাতে রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম, ফরয নামাজান্তে মুনাজাতের বিধান, মৃত্যুর পর ঘরে আত্মার আগমন, স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম, নবীগণের জন্য আলায়হিমুছ ছালাম বলা প্রসঙ্গে, আদবে শায়খ ও মুরীদান, মাযারে গম্বুজ নির্মাণে ফায়সালা, বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুম্বনের বিধান, ইসলাম, বিজ্ঞান ও ইমাম আহমদ রেযা, সিরাজুম মুনীর, তাওসীফে মিল্লাত এর স্বরণীয় সফরে হজ্ব, মুফতীয়ে আযমে হিন্দ ও তাঁর খোলাফাত, মুফতী আহমদে খান নঈমী : জীবন ও কর্ম, তাজাল্লিয়াতে কুতুবে মাদীনা : জীবন ও কর্ম, সৈয়্যদ আহমদ সাঈদ কাজেমী : জীবন ও কর্ম।
অপ্রকাশিত : গাজ্জালিয়ে জামান, জিয়া এ মাদীনা : জীবন ও কর্ম, ইউসুফ বিন ঈসমাইল নাবহানী:জীবন ও কর্ম, মুফতী সৈয়্যদ আমীমুল ইহসান (রহ):জীবন ও কর্ম, আল্লামা সদরুল আফাজিল: জীবন ও কর্ম, সবুজ গম্বুজ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
উল্লেখ্য তিনি গত ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ রাত ০৮.৩০ ঘটিকায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ডাকে সাড়া দেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজি'উন। ০৭ ডিসেম্বর বাদে আসর জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ঐতিহাসিক ময়দানে তাঁর জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের একমাত্র ছেলে আতাউর রহমান রাফির ইমামতিতে উক্ত জানাযার নামাজ সম্পন্ন হয়।
(৪) প্রফেসর এসএম আজগর আলী :
প্রফেসর এস এম আজগর আলী দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নে কেশুয়া গ্রামে ১৯ আগস্ট ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বরকল এস.জেড. হাইস্কুল থেকে এস,এস,সি,১৯৮৬ সালে বোয়ালখালি সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ,এস,সি কৃতিত্ব লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৮৮৯ সালে বি,এ,(অনার্স), এবং ১৯৯০ সালে এম,এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।
প্রফেসর এস এম আজগর আলী মীরসরাই লতিফীয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা,১৫/১০/৯৪থেকে ৩০/১১/৯৭ পর্যন্ত কৃতিত্ব সহিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১/১২/৯৭ সালে দক্ষিণ চট্টগ্রামের নিজ উপজেলা চন্দনাইশের দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ হতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া তিনি মীরসরাই সুফিয়া আলিয়া মাদ্রাসায়,আহমদিয়া করিমিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসায় এবং বরকল ছালামতিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় বেসরকারিভাবে পার্ট টাইম কৃতিত্ব সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড,ঢাকা কতৃক ১৯৫৯ সালে দাখিল, ১৯৬১ সালে আলিম, ১৯৬৪ সালে ফাজিল এবং ১৯৮৩ সালে বিজ্ঞানের মঞ্জুরী লাভ করে। এরপরে ২০০৬ সালে মাদ্রাসাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হয়, এবং ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্থানান্তরিত হয়। গরীব অসহায় ও এতীম ছাত্রদের জন্য লিল্লাহ বডিং নামে একটি এতিমখানা রয়েছে।এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বোর্ড পরীক্ষায় বেশ কয়েকবার সারাদেশের সেরা দশে স্থান পেয়েছে। কোন একসময় পুরো দেশকে চমক দেখিয়ে মরহুম মাস্টার হাবিবুর রহমান এর অক্লান্ত পরিশ্রমে স্কাউটে বেশ সুনাম অর্জন করেন। এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা স্কাউট' এর সর্বোচ্চ পদক "প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড" অর্জন করেছিল। এমনকি খুবই অল্প সময়ে এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জ্ঞান-গবেষণায় খ্যাতি অর্জন করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আগামীতেও ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ ও গৌরবময় করবে।