২।চরমোনাই পীর সাহেবের সাহেবজাদা মুসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদানী। বর্তমানে তিনি চরমোনাই পীর সাহেবের পরিচালিত কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল।
৩।আহলে হাদীস মতাদর্শবাহী ড: ওয়ালি উল্লাহ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এর শরীয়া অনুষদের ডীন ও দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান।
৪।ড. এ,কে,এম মাহবুবুর রহমান। জমিয়াতে তালাবায়ে আরাবিয়া এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ জামিয়াতুল মুদাররেসীন এর কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ফরিদগঞ্জ মজীদিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল।
৫। প্রফেসর ড. আহসান ফায়সাল, সাবেক চেয়ারম্যান, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
৬।সাইফুদ্দীন ইয়াহিয়া। জমিয়াতে তালাবায়ে আরাবিয়া এর কেন্দ্রীয় সভাপতি। পরবর্তীতে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা।
৭।স.উ.ম আব্দুস সামাদ।বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনা এর কেন্দ্রীয় নেতা। বর্তমানে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক।
৮।সৈয়্যদ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদী। উপমহাদেশের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত খ্যাতনামা আলেম সৈয়দ আবেদ শাহ মুজাদ্দেদী (রহ) এর সুযোগ্য উত্তরসূরী। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি।
৯। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শফিক আহমদ।সাবেক চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১০। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।সাবেক চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১১। প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান। সাবেক চেয়ারম্যান, আরবী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ভূতপূর্ব প্রফেসর ও চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল গফুর চৌধুরী এর সাহেবজাদা।
১২।ব্যরিষ্টার আব্দুল মতিন, এল,এল,বি (অনার্স) এল,এল,এম আমেরিকা।
১৩। মীর মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন শিবলী –মহাপরিচালক, দূর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)।
আমার আগে ও পরে তাঁর বহু ছাত্র তাঁর শিষ্যত্ব লাভে ধন্য হয়েছেন। তারা শিক্ষা-গবেষণা,অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজসেবা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ধর্ম ও সমাজ সংস্কার আন্দোলনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর বিপুল সংখ্যক ছাত্র দেশ ও বিদেশের বহু উচ্চপদে কর্মরত। ভারত,পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, মিশর,সাউদী আরব,কুয়েত,যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা,জার্মানি তথা বিশ্বের বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের উচ্চ ডিগ্রীধারী এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। চাচা হুজুর প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন শায়খুল হাদীস আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ) এর অন্যতম ছাত্র ও শিষ্য মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকার সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, স্বনামধন্য মুহাদ্দিস আল্লামা ফোরকান সাহেবের আহবানে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলাস্থ খতমে সহী বুখারী শরীফের দাওয়াতের অনুষ্ঠানে আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ) যোগদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি ইমাম বুখারী ও সহীহ বুখারীর ফজিলত ও মাহাত্ম্যের উপর জ্ঞানসমৃদ্ধ গবেষণাধর্মী মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। অংশগ্রহণকারী শ্রোতাগণ বলেছেন তাঁর বিরল এ ভাষণটি দর্শকদের স্মৃতির মানসপটে এখনো চির জাগরুক রয়েছে। দাওয়াত শেষে বিকেলে তিনি স্বীয় গৃহে ফিরেন। দিনটি ছিলো ২৬ শে মে ২০১১/২১ জমাদিউস সানি ১৪৩২ হিজরি রোজ বৃহস্পতিবার। রাতে এশার নামাজের পর বিছানায় শায়িত হন। রাত কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি নিজে অস্বস্তিবোধ করেন। সেদিন দিবাগত রাত ১২.১৫ মিনিটে তাঁর প্রভুর ডাকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরেরদিন জুমাবার বাদে আসর জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ঐতিহাসিক ময়দানে পরিবারের অনুরোধক্রমে আমি অধম মুহাম্মদ আমিনুর রহমানের ইমামতিতে তাঁর জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হয়। এতে গুণী ব্যক্তিবর্গ সহ হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে তার পারিবারিক কবরস্থান মাওলানা মঞ্জিলে দাফন করা হয়। আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতে আলা মাকাম দান করুন। তাঁর কবরের উপর নাজিল করুন আল্লাহ পাকের রহমতের বারিধারা।
লেখক: কলামিস্ট ও গবেষক।
অধ্যক্ষ, জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা।
পরিচালক, চন্দনাইশ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।