ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে জনতার ঢল! ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত সাবেক সংরক্ষিত এমপি’র বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবা-অস্ত্রসহ পুত্র আটক সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আজম কারাগারে কালাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চিকন আলী নামে এক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা নেতানিয়াহুর জন্য বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে পীরগাছায় মশাল মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় লালপুরের যুবকের মৃত্যু

হাদীসশাস্ত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্রস্বরূপ শাইখ আল্লামা ফখরুদ্দীন সাহেব হুজুরের সান্নিধ্যে

*স্মৃতিচারণ

হাদীসশাস্ত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্রস্বরূপ শাইখ আল্লামা ফখরুদ্দীন সাহেব হুজুরের সান্নিধ্যে


          জহির মুহাম্মদ শামসুদ্দীন
                                                                         
 ২৬ মে ২০১১ সাল বৃহস্পতিবার সুবহে সাদিক, মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে ধ্বনিত হলো ফজরের আজান। ২০০৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তৎকালীন চুনতি হাকিমিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসার সম্মানিত উপাধ্যক্ষ মহোদয় জনাব আ ন আতিক আহমদ হুযুরের মাধ্যমে জানতে পারলাম, দিবাগত রাত ১২.১৫ টায় আমাদের শাইখ সাহেব হুজুর ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।অপ্রতিভ হলাম হুজুরের ইন্তেকালের খবর শুনে। কারণ এর কয়েকদিন পূর্বে শাইখ সাহেব হুজুর মাদরাসার নিজ কক্ষ থেকে হাতে থলে ও ছাতা নিয়ে স্থির মনে বাড়ীতে গমনের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলেন। পেছনে আমিও হুজুরকে অনুসরণ করে কতদূর হাঁটলাম, আর ভাবছিলাম কত কিছু। আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পথে জীবন উৎসর্গকারী মহান ব্যক্তিদের বৃদ্ধ বয়সে কারো সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরার সক্ষমতা দু' নয়নে অবলোকন করলাম।
শাইখ আল্লামা ফখরুদ্দীন সাহেব হুজুর শুধু একজন ব্যক্তি নন বরং তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান, জ্ঞানের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। মহান এই হাদীস বিশারদের নাম মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন। তিনি  চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ পৌরসভা এলাকার মাওলানা মঞ্জিলের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 
একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অতুলনীয় গুণাবলীর অধিকারী। মরহুম হুজুরের কক্ষ দেখে অবাক না হয়ে থাকতে পারা অস্বাভাবিক বলে মনে করি। পানের বাটি, ঔষধ, কাপড়, কিতাব, ডায়েরী নির্ধারিত স্থান থেকে এলোমেলো হওয়া কল্পনাতীত। একজন বড় ভাই আমাকে বলেছিল, হুজুরের খেদমত যিনি করবেন তাকে অনেক সুশৃংখল হতে হবে। আমাদের সহপাঠী বর্তমান লোহাগাড়া পাইলট উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস ভাই হুজুরের খেদমত করতেন। হুজুরের শ্রেণিকক্ষে আগ-মন প্রস্থানের সময় ইলিয়াস ভাই কিতাবাদি সাথে নিতেন।ছাত্রাবাসে রান্না করা খাবার হুজুরের কক্ষে নিয়ে আসতেন, তৎকালীন সহকারী মাওলানা বর্তমান গারাঙ্গিয়া আলিয়া মাদরাসার সম্মানিত আরবি প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীনের নির্দেশে কিছু ছাত্র। একদিন ছোট ভাই খায়রুল বাশার আমাকে ان هي الا وحي يوحي
 আয়াত সংশ্লিষ্ট  একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে আমি উত্তর প্রদান করতে ব্যার্থ হয়ে হুজুরের নিকট ধরনা নিলাম। হুজুর তাৎক্ষণিক  আমাকে উত্তর প্রদান করলেন। যে কোন বিষয়ে হুজুরের নিকট প্রশ্ন করতাম আমরা। কোন ছাত্র প্রশ্ন করলে হুজুর মুচকি হেসে তার উত্তর দিতেন। মাঝে মাঝে সহজ বিষয়ে জানতে চাইলে বলতেন, উনি বেহেশতি। হুজুরের উস্তাদ মুফতি মুহাম্মদ আমীমুল ইহসান যখন কোন ছাত্রকে নির্বোধ মনে করতেন তাকে নাকি "বেহেশতি" বলে সম্বোধন করতেন। অত্যন্ত চমৎকার পদ্ধতিতে আমাদের সামনে হাদিসের সনদ বিশ্লেষণ করতেন। জামে তিরমিজির দরস  প্রদান করার সময় হুজুর আমাদের বলতেন- তোমরা মনোযোগ দিয়ে সনদ বুঝে নাও।সনদের বিশ্লেষণ ক্লাসে না বুঝলে বাড়িতে বুঝা সম্ভব নয়। মতনের অর্থ চেষ্টা করলে বাড়িতে বুঝা সম্ভব হতে পারে। এত বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পরও সনদের বিশ্লেষণ আমাদের অনুধাবন করিয়ে নেবার জন্য সরাসরি বোর্ডের সহযোগিতা নিতেন। বোর্ডে লিখে তিনি আমাদের বুঝাতেন।
تهذيب التهذيب، تاريخ المدينة ودمشق,
العلالة في شرح
প্রভৃতি দুর্গত গ্রন্থের সাথে আমাদের পরিচিতির সাঁকো ছিলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা ফখরুদ্দীন  (রহ)। হুজুরের দৃষ্টি ছিল সার্বজনীন দারস প্রদান করার সময় সবার প্রতি তাঁর সমান নজর ছিল। একদিন আমি, ইমরান ভাই ও আব্দুল মজিদ ভাই ৩ জনকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে বললেন- তোমরা মনোযোগী হলে ভালো কিছু
হতে পারবে। হুজুরের মুখনিঃসৃত আশার বাণী আমার হৃদয় সিক্ত করল। আমি অধ্যয়নে আরো বেশি সচেতন হলাম। কিতাবাদি বুঝার ক্ষেত্রে বলতেন- হুজুরের সাথে যোগাযোগের ধারাবাহিকতা রক্ষা করলাম। হুজুর আমাদের বলতেন তোমরা ডায়েরিতে জীবনের বিভিন্ন ঘটনাবলি লিখ। অথচ আমি কিভাবের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি ডায়েরিতে নোট করে রাখি। এই বলে তিনি আমাদের কয়েকটি ডায়েরিতে লেখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি দেখালেন। একদিন হুজুর আমাকে ডেকে অ্যাসাইনমেন্টের নিয়মাবলি সংশ্লিষ্ট একটি নোটিশ লিখতে বললেন। আমি নির্ধারিত সময়ে নোটিশটি লিপিবদ্ধ করে শ্রেণিকক্ষে হুজুরকে প্রদান করতে চাইলে হুজুর তাৎক্ষনিক বললেন- এটি রুমে প্রদান করিও, শ্রেণিকক্ষে নয়। ক্লাসে পাঠদান সংশ্লিষ্ট কার্যাবলি বাতীত আর কোন কিছু করতে হুজুর রাজি নন। নির্ধারিত কাগজে লিপিবদ্ধ করে হুজুরের নিকট থেকে আমি অনেক কিতাবাদি নিজ কক্ষে এনেছিলাম। হুজুরের ইন্তেকালের সময় আমার নিকট হুজুরের ৩টি কিতাব ছিল, যেগুলো পরবর্তীতে চুনতী মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান জনাব মাওলানা আনসার সাহেবের নিকট জমা দিয়েছি। নিয়ম পালন করে আমরা যে কোন কিতাব আনতে চাইলে তা প্রদান করতে হুজুর দ্বিধাবোধ করেননি।শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি যথাযথ নিয়ম প্রয়োগ করছেন। স্বহস্তে  লেখার ব্যাপারে তিনি গুরুত্ত্বারোপ করতেন। স্বহস্তে না লেখার কারণে তিনি অনেক শিক্ষার্থীর অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করেননি। কিন্তু কিছু  শিক্ষার্থী পুনরায় স্বহস্তে লিখে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের বাইরে তিনি অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করতেন না।হুজুরের এ নিয়মনীতির কারণে আমরা সবাই নির্ধারিত সময়ের ব্যাপারে খুবই সচেতনতা অবলম্বন করতাম। শায়খ সাহেব হুজুর ও দাওম সাহেব হুজুর  জনাব মাওলানা হাফেজ শাহে আলম হুজুরের মধ্যকার সম্পর্ক ছিল খুবই হৃদ্যতাপূর্ণ। শায়খ সাহেব হুজুর শ্রেণিকক্ষে বলেছিলেন- মাদরাসা সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে আমি দ্বিমত পোষণ করলে তাতে শাহে আলম সাহেব সম্মতি প্রদান করেন না। কামিল শ্রেণিতে পাঠদানের জন্য নির্ধারিত কোনো হুজুর অনুপস্থিত থাকলে উপাধ্যক্ষ মহোদয় একটি আরবিতে দরখাস্ত লিখে হুজুরের নিকট পাঠালে শায়খ সাহেব হুজুর নিজ ঘণ্টার বাইরে আমাদের ক্লাস নিতেন। বেশি ক্লান্ত হলে হুজুর আমাদেরকে নিজ কক্ষে নিয়ে উলুমুল হাদিসের ক্লাস করাতেন। জ্ঞানের সূতিকাগার চুনতী হাকিমিয়া কামিল (এমএ) মাদরাসায় বিশ্ববরেণ্য আশেকে রাসূল (সা) হাফেজ শাহ শাহের (রহ) ও বিশিষ্ট দানবীর এস্তেফাজুর রহমান খাঁর স্মরণে যে গ্রন্থাগার গড়ে উঠেছে তা সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন  (রহ) ও মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ কাজী নাসির উদ্দীন সাহেব যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কালের পরিবর্তনে এসব ধুয়ে মুছে যাবে না কোনদিন।
চুনতী মাদরাসায় আসার পর থেকে হুজুর মুজাদ্দিদে সিরাত শাহ সাহেব (রহ) প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী ঐতিহাসিক নিৰ্বাতন্নবী (সা) এর উদ্বোধক ছিলেন। ২০১১ সালে সিরাতুন্নবী (সা)-এর উদ্বোধনী আলোচনায়
تاريخ المدينة والمشق
এর ৪৭ খন্ডে বর্ণিত ملك بن دي
এর কথা আলোচনা করলে মঞ্চে উপবিষ্ট চুনতী হাকিমিয়া কামিল (এম.এ) মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ বর্তমান সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদরাসার সম্মানিত অধ্যক্ষ মহোদয় আল্লামা মাহমুদুল হক আল আজহারী তা
কাগজে নোট করে নিলেন। আরো উপবিষ্ট ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের, চুনতী হাকিমিয়া কামিল (এমএ) মাদরাসার মুহাদ্দিস জনাব মাওলানা মুহাম্মদ শাহ্ আলম হুজুর। অসংখ্য জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্ব শায়খ সাহেব হুজুরের আলোচনা থেকে শিক্ষার্থীর মত উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করতেন।সিরাতুন্নবী (সা)-এর উদ্বোধনী বক্তব্যে একটি হাদিস উল্লেখ করেছিলেন যা صحیح بخاری শরীফের كتاب الإيمان والنور এ উল্লেখিত আছে-

حدثنا يحي بن سليمان قال حدثنی ابن وهب
قال أخبرني حيوة قال حدثني ابو عقيل زهرة
بن معد أنه سمع جده عبد الله بن هشام قال كنا مع النبي
صلى الله عليه وسلم وهو أخذ بيد عمر بن -
الخطاب فقال له عمر یا رسول الله صلى الله
الى من كل شي الا نفسي فقال -
عليه وسلم لانت
النبي صلى الله عليه وسلم لا والذي نفسي بيده
حتى أكون أحب اليك من نفسك فقال له
الآن والله لأنت أحب إلي من نفسي فقال النبي -
على الله عليه وسلم الآن يا عمر. (ص ۱۸۱ ج ۲) -

শায়খ সাহেব হুজুর প্রচলিত ধারার ওয়ায়েজ ছিলেন না। তিনি শুধুমাত্র পাঠদানকেই নিজের মিশন হিসেবে বাছাই করে নিয়েছিলেন। পৃথিবীর কোন কর্মব্যস্ততা হুজুরের ক্লাসে পাঠদানের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র বিস্তৃতা ঘটাতে পারেনি। সব সময় ক্লাসে পাঠদানকে তিনি আমৃত্যু প্রাধান্য দিয়েছেন। আমরা যারা শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত তাদের জন্য অনুসরণ করার একজন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মরহুম আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ)।
এই ক্লান্তিহীন মনীষী ২০০৮ সালে সন্ত্রীক হজ পালন করেছেন। ২৬শে মে ২০১১/২১ জমাদিউসসানী ১৪৩২ হিজরি, রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর বড় জামাতা অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুর রহমান জানাজার নামাজের ইমামতি করেন। পারিবারিক কবরস্থান মাওলানা মঞ্জিলে তাকে দাফন করা হয় আমরা যদি হুজুরের দেখানো পথে নিজেদের কর্ম পরিচালনা করি তা হলে আমাদের জীবনকে সফল ও সার্থক করে গড়ে তুলতে পারি। মহান আল্লাহ শায়খ সাহেব হুজুরকে জান্নাতুল ফেরদাউসের কাঙ্ক্ষিত আসন সমাসীন করুক আমিন, কায়মনোবাক্যে মহান রবের নিকট এই প্রার্থনা করে ইতি টানলাম।


লেখক: 
প্রভাষক (আরবি) লোহাগাড়া দক্ষিন শুকছড়ি এ  কে শাহ্ ফাজিল (ডিগ্রী)  মাদরাসা। 
এমফিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

Tag
আরও খবর