সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার জন্য সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটি নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশের প্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা নিয়ে কথা বলেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। রোববার (৫ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ হবে কি না প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কথা বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বয়সসীমা বাড়ালে অবসরের সময় নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী আরও বলেন, এরপরও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে বাস্তবতা বিবেচনা করেই।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশের পর আশাবাদী হয়ে উঠেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ কোটাধারীদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর।চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। কোটপদ্ধতি তুলে দেওয়ার দাবিও ছিল তাদের। তারা বিভিন্ন সময় বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন।
৭ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে