লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গরু ধান ক্ষেতে ঢুকে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন ৮ জন।
আজ সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ওই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া ৭ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোলেমান গনি বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, বড়খাতা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৬০), মজিদের ছেলে দবিয়ার (৩২), মৃত নুর ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান (৪০), কামরুজ্জামানের ছেলে মিরাজ (২০), মঞ্জুর স্ত্রী মজিয়া বেগম (৪০), কামরুজ্জামানের স্ত্রী মোমিনা বেগম (৩৮), দবিয়ার রহমানের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫) ও গফুর মিয়ার স্ত্রী পরিজন নেছা (৫৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত বৈশাখ আলীর ছেলে আক্তার তার বাড়ির পশ্চিম দিকে থাকা ইরি ক্ষেতে গিয়ে দেখেন কামরুজ্জামানের একটি গরু তার ধান ক্ষেতে ঢুকে ফসল খাচ্ছে। এ সময় আক্তার খোয়ারে দেয়ার জন্য গরুটি ধরতে গেলে কামরুজ্জামান এসে বাঁধা দেয় । এর এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে উপরোক্ত আসামীরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, ছোড়া দিয়ে আক্তারকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। পরে আক্তারের চিৎকার শুনে সহিদা বেগম, সুমন, শরিফুল ও আনোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আক্তারকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে সবাইকে এলোপাতাড়ি মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন আসামীরা।
এ সময় সহিদা ও সুমনকে এলোপাতাড়ি ছোড়া দিয়ে আঘাত করে জখম করে। পরে তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করেন।
অবস্থার অবনতি হলে সহিদা ও সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে