তাইওয়ানের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকান্ডের’ ‘কঠোর শাস্তি’ হিসেবে চীন দ্বীপ দেশটির চারপাশে বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
চলতি সপ্তাহে নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে বেইজিংকে ‘ভীতি প্রদর্শন’বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এরই মধ্যে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে চীনের এই ধরনের উদ্যোগ খুবই উদ্বেগজনক।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি দাবি করছে তাইওয়ান তাদেরই অঞ্চল এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপ দেশটিকে তাদের শাসনে নিয়ে আসবে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ঘোষণা দিয়েছে, তাইওয়ানের যুদ্ধ মোকাবেলায় সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সামরিক বিমান এবং নৌ বাহিনীর জাহাজ তাইওয়ানের চারপাশে মহড়া দিচ্ছে।
এদিকে, চীনের সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তাইওয়ান খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, তারা ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব’ রক্ষায় সমুদ্র, আকাশ ও স্থলপথে বাহিনী মেতায়েন করেছে।
তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় এই ধরনের ‘অযৌক্তিক উস্কানিমূলক’ কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব কার্যকলাপ কেবলমাত্র আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে।
এদিকে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের উপ-কমান্ডার সেক্লঙ্কা ক্যানবেরায় সাংবাদিক ও উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সত্য বলতে, এরকম কিছু হবে তা আমরা প্রত্যাশা করছিলাম।’
তিনি অঅরো বলেন, ‘তবে আমরা চীনের কাছ থেকে এমন ব্যবহার প্রত্যাশা করেছি। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে আমরা এতে নিন্দা জানাব না এবং আমাদেরকে প্রকাশ্যেই চীনের এই উদ্যোগের প্রতি নিন্দা জানাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীনা’ নীতিতে বিশ্বাসী এবং তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করলেও দুই দেশের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
১৫ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১৮ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
২০ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
২৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১ দিন ২ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে