দুই মেয়ে ও ছয় ছেলে রেখে ১৫ বছর আগে মারা যান আহমদ হোসেন। এই পরিবারের সকলেই বিয়ে করে সংসার করলেও ছোট মেয়ে সাইমাকে নিয়ে বিপাকে পড়েন মা ছফুরা খাতুন। মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হলেও আর্থিক সংকটের কারণে অনেকটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন মা ছফুরা খাতুন।
অবশেষে সাইমার মায়ের দুশ্চিন্তার অবসান ঘটালেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসাইন। শুধু সাইমার মা নয় এমন আরও তিনজন মায়ের চিন্তার অবসান ঘটালেন তিনি। নিজ উদ্যোগে বিয়ে দিলেন চার কিশোরীকে।
শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে এই চারটি বিয়ের আয়োজন করা হয় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদে। বিয়ে উপলক্ষে বরপক্ষের লোকজন ছাড়াও এলাকার অন্তত পাঁচশ মানুষকে খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়। প্রতিটি দম্পতিকে উপহার হিসেবে ফার্নিচার সেট, হাঁড়ি-পাতিল সবই দেওয়া হয়েছে।
যাদের বিয়ের আয়োজন করা হয় তারা হলেন- বর মোহাম্মদ হেফাজ উদ্দীন, কনে রাজিয়া সুলতানা; বর হাবিবুর রহমান ইমন, কনে তাসমিন জান্নাত; বর মোহাম্মদ সোহেল, কনে কানিজ ফাতেমা তানিয়া; বর মো. শাকিব, কনে সাইমা জন্নাত মুন্নি।
বিয়ে উপলক্ষে ইউপি চত্বরে চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণবিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কনে কানিজ ফাতেমার মা সাকেরা বেগম বলেন, ১৬ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছে। আমার ছেলেমেয়ে দুজন। আর্থিক সংকটে নবম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করাতে পারিনি মেয়েকে। মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার পরও বিয়ে দিতে পারছিলাম না। স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্যোগের ফলে আমার মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পেরেছি। নিজেকে অনেক বছর পর খুব হালকা মনে হচ্ছে।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, বাবা নেই, দুস্থ-এমন মেয়েদের বাছাই করে বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ বলেন, চারজন নবদম্পতির নবসূচনায় ইউপি চেয়ারম্যানের অবদান অনিন্দ্য সুন্দর। এটি অনুকরণীয়।
১ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে