আজ ৩০ শে জুন, শহীদ আরমান এর ৩০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। কিশোরগঞ্জ জেলার শহীদি মসজিদ ঘেঁষেই শহীদ আরমানের বাসা।আরমানের পিতার নাম আনোয়ার হোসেন।
আরমানের বয়স তখন ১৪ বছর। আরমান তখন আজীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। শহীদি মসজিদের পাশে বাসা থাকায় আরমান ঐ মসজিদের নিয়মিত মুসুল্লি ছিলেন। আরমান স্কুলে লেখা পড়া করলেও তার বন্ধুরা ছিল জামিয়া ইমদাদিয়া মাদরাসার ছাত্র।
স্কুলে নামাজ পড়ার কোন জায়গা ছিল না। আরমান তার কয়েক জন সহপাঠিদের নিয়ে স্কুলের কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানের ব্যবস্থা করিয়ে নেয়।
সে সময় দেশে ইসলাম বিরোধি লেখা-লেখি চলছিল। বিশেষ করে বিতর্কিত লেখিকা তাসলিমা নাসরিন কোরআন-হাদিসও ইসলামের বিরুদ্ধে লেখায় আলেম-ওলামা এর পক্ষ ইসলাম ও রাষ্ট্রদ্রোহি তৎপরতা প্রতিরোধ মোর্চা হরতাল ডাকে। সে হরতালের সমর্থনে আগে থেকেই প্রচার-প্রাচারনা চলছিল।
১৯৯৪ সালে ৩০ জুন সকালে ফজরের আজান শোনে আরমান সকলকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে। আরমানের ডাকাডাকিতে তার বাবা ও ঘুম থেকে উঠে নামাজে যায়। নামাজ থেকে বাসায় ফিরে আরমান তার মাকে বকে মা আমি মিছিলে যাব। আমাকে কিছু খেতে দাও। মা মিছিলের কথা শোনে ভয়ে বলে তুমি ছোট মিছিলে যাওয়া লাগবেনা বাপধন।
আরমান তা মাকে বলে মাদরাসার সালাহ উদ্দিন হুজুরের কাছে শোনেছি কোরআনের সম্মান রক্ষা করার জন্য মিছিলে গিয়ে কেউ মারা গেলে সে জান্নাতে যাবে। মা মানা করার পরও আরমান মিছিলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে যায়।
আরমান মিছিল শেষ করে ফিরে আসার সময় শোনে পীর ইসমাইল সাহেব পুলিশের লাঠিচার্জে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। এ কথা শোনার পর আরমান দৌড়ে চলে গেল। যাওয়ার সাথে সাথে আরমান পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। এখন হয়তো আরমানের এ আত্মত্যাগ অনেকেই ভুলে গেছে।
আজ ৩০ জুন শহীদ আরমানের ৩০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী।
১ দিন ২ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১ দিন ৪ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১ দিন ৪ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১ দিন ৪ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১ দিন ২২ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে