ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত ইসিকে জানান, সরকারের প্রতি সালাহউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় অনুষ্টিত সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা, অভাবে ধুঁকছে বনজীবিদের পরিবার সাতক্ষীরায় ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইটভাটা ব্যবসায়ীর ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল

চেয়ারম্যানরা পলাতক, সেবা মিলছে না

পরিষদে চেয়ারম্যান নেই। তার খোঁজও মিলছে না। তালা ঝুলছে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। এমন দৃশ্য দেখা গেল ঝিনাইদহ সদররে পাগলা কানাই ইউনিয়ন পরিষদে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস তিন সপ্তাহ ধরে ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন না। শুধু আবু সাঈদ বিশ্বাসই নন, ঝিনাইদহের ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ চেয়ারম্যানরা ৫ আগস্টের পর থেকে পরিষদে যাচ্ছেন না। এতে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই সব ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সরেজমিন সদরের পাগলাকানাই ও সুরাট, শৈলকুপার দুধসর ও মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানরা কার্যালয়ে নেই।

তাদের কক্ষ তালাবদ্ধ। অফিস করছেন সচিব ও উদ্যোক্তারা। চেয়ারম্যান না থাকায় তাদের কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে সেবাপ্রত্যাশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানরা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে যাচ্ছেন না।

এর মধ্যে রয়েছেন সদরের ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিটন, পাগলা কানাই ইউনিনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস, কালীচরণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, পদ্মকর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ বিশ্বাস, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ও সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন। শৈলকুপার ত্রিবেণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোল্লা, উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা, দুধসর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সাবু, ধলহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিশ্বাস, বগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল ও মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ। এ ছাড়া হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার অধিকাংশ চেয়ারম্যান লাপাত্তা রয়েছেন।

পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সনদ নিতে আসেন পারভেজ আলম, দেলোয়ার হোসেন, সুমাইয়া খাতুন, ইসরাঈল বিশ্বাস ও আলেয়া বেগম। তারা বলেন, ‘নিজের বিভিন্ন অপকর্ম ঢাকতে আওয়ামী লীগের এই চেয়ারম্যান পরিষদে না এস গা ঢাকা দিয়েছেন।

সনদে স্বাক্ষর নিতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়, বাড়ি ও মোবাইলে খোঁজ করে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’

দুধসর ইউনিয়ন পরিষদে উত্তরাধিকার সনদ নিতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ পাঁচ দিন ধরে পরিষদে ঘুরছি একটা ওয়ারেশন সনদ নেওয়ার জন্য। চেয়ারম্যান না থাকায় শুধু সচিবের স্বাক্ষরে কাজ হচ্ছে না।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটির সভাপতি ও মানবাধিকারকর্মী আমিনুর রহমান টুকু জানান, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মমের অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরুদ্ধে। এসব অপকর্মের জন্য তাদের মধ্যে আত্মভয় তৈরি হয়েছে। এ জন্য অনেক চেয়ারম্যান-মেম্বার তাদের কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে এই সংকট দ্রুত নিরসন করতে হবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতে যেসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত রয়েছেন, সেসব ইউনিয়নে তাদের পরিবর্তে প্যানেল চেয়ারম্যানদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর পরও অনেক জায়গায় প্যানেল চেয়ারম্যানরাও কার্যালয়ে যাচ্ছেন না বলে শুনেছি। এতে করে ওই এলাকার বসিন্দারা নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়েছে।



Tag