ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে জনতার ঢল! ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত সাবেক সংরক্ষিত এমপি’র বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবা-অস্ত্রসহ পুত্র আটক সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আজম কারাগারে কালাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চিকন আলী নামে এক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা নেতানিয়াহুর জন্য বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে পীরগাছায় মশাল মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় লালপুরের যুবকের মৃত্যু

আজ রামগড় হানাদারমুক্ত দিবস

আজ রামগড় হানাদারমুক্ত দিবস


এমদাদ খান (রামগড়) খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি 


আজ ৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্ত শহর রামগড় হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে অকুতোয়ভয় মুক্তিসেনা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর আক্রমণে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি বাঙালি জনতা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে রামগড় প্রবেশ করে এবং স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করে রামগড় কে শক্রমুক্ত ঘোষণা করে।


এইদিন পড়ন্ত বিকালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য প্রয়াত সুলতান আহমেদ মুক্তিকামী বাঙালিদের নিয়ে রামগড় ডাকঘরের শীর্ষে বাংলার লাল-সবুজের পতাকাটি উত্তোলন করে রামগড়কে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করে।


মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত তৎকালীন মহকুমা শহর রামগড় ছিল চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রাণকেন্দ্র। রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শিবির।


তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান এখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন। মেজর জিয়াউর রহমান এক পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করেন ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় বিএসএফ’র প্রধান ব্রিগেডিয়ার পান্ডের সঙ্গে। ৪ এপ্রিল তেলিয়া পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে ব্রিগেডিয়ার পান্ডের সাথে কনফারেন্স করেন, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ ও মেজর শাফায়েতসহ বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তারা। ওই কনফারেন্সে মেজর জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।


২ মে পাক বাহিনীর রামগড়ের ব্যাপক আক্রমন চালায়। রামগড়ে মুক্তিযুদ্ধ প্রশিক্ষন ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলাম সমস্ত স্থাপনা ও যুদ্ধ সামগ্রী সীমান্তের ওপারে ভারতের সাবরুমে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম সাহসী লাড়াইয়ের পরেও রামগড়ের পতন হয়।


পরবর্তীতে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষন শিবির থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় আবারো পাক সেনাদের ওপর আক্রমন শুরু করে। ৭ ডিসেম্বর রাতে এবং ৮ ডিসেম্বর ভোরে ভারতীয় দুটি জঙ্গী বিমান রামগড়ে পাক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনার উপর দু’দফা সফল হামলা চালিয়ে রামগড়কে হানাদারমুক্ত করে।

Tag
আরও খবর