কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি টুমণ গ্রেফতার। গুচ্ছে নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে প্রাথমিক ভর্তির নিশ্চয়ন, ভর্তি শুরু ২২জুন বরিশালে কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলা চার শিক্ষার্থী আহত, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত ইসিকে জানান, সরকারের প্রতি সালাহউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় অনুষ্টিত সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা, অভাবে ধুঁকছে বনজীবিদের পরিবার সাতক্ষীরায় ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইটভাটা ব্যবসায়ীর ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ঘর পাবে আরও ৪০ লাখ মানুষ: প্রধানমন্ত্রী

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 11-03-2023 10:41:28 pm

দেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ইতোমধ্যে ৩৫ লাখ মানুষ ঘর পেয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও ৪০ লাখ মানুষ ঘর পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


গতকাল শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর আ.লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। 


দুপুর আড়াইটার দিকে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বেলা ৪টার দিকে নেতাকর্মী সমর্থকে কানায় কানায় পূর্ণ জনসভাস্থলে বক্তব্য দিতে ওঠেন শেখ হাসিনা।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে মানুষকে আমরা বিনে পয়সায় করোনার টিকা দিয়েছি। তা এখনও দিয়ে যাচ্ছি। ময়মনসিংহ চমৎকার একটি বিভাগ, যেখানে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষি-খাদ্য উৎপাদন সবকিছুতেই এগিয়ে যাবে। আমরা ময়মনসিংহ বিভাগ করেছি। যদি করোনা না হত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ না থাকত তাহলে হলে এই বিভাগের কার্যক্রম আরও উন্নত হত। 


তিনি বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। বাবা মা ভাই সবাইকে হারিয়েছে। শুধু মানুষের কথা চিন্তা করে এখনও কাজ করে যাচ্ছি। বিভাগ হিসেবে ময়মনসিংহে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় হবে। আমরা তা করে দেব। মানুষের জন্য আমাদের কাজ করাই মূল লক্ষ্য।


সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি-জামাতের আমলে এই অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদে লিপ্ত ছিল। লুটপাট সন্ত্রাস, বাংলা ভাই সবই বিএনপির। তাদের সময় সাক্ষরতার হারও কম ছিল। বিএনপি নেত্রী উর্দু ছাড়া কোনও বিষয়ে পাস করেনি। জিয়াউর রহমান ম্যাট্রিক পাস। তার ছেলে কোনও এক জায়গা থেকে একটি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে শিক্ষিত হয়েছে। এজন্য তারা শিক্ষার-দীক্ষায় অমনোযোগী। আজকে সাক্ষরতার ৭৫ শতাংশের ওপরে। সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন, তা আ.লীগ সরকার দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ওয়াই-ফাই এসেছে। 


এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। স্কুলগুলো আধুনিকায়ন হচ্ছে। পাঁচ হাজার ২৭২টি ডিজিটাল ল্যাব করে দেওয়া হয়েছে। আজকে ঘরে বসেই ছেলেরা অনলাইনে আয় করতে পারছে। যুব সমাজের কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারিভাবে অনেক সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে।


আমরা ঘরে ঘরে ভাতা দিয়েছি। আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। ২০০১ সালে লুটেরার বিএনপি আসায় সব লুটে খায়। তাদের সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। আল্লাহর রহমতে এখন আর খাদ্য ঘাটতি নেই। এক কোটি মানুষকে আমরা মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারার সুযোগ করে দিয়েছি। অনেককে ১০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছি। আবার যাদের একেবারে সামর্থ্য নেই তাদের বিনামূল্যে চাল দেওয়া হচ্ছে। 


আমরা চাই, কোনও মানুষ কষ্ট না পাক। গবেষণার মাধ্যমে সবজিসহ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য ঘাটতি দূর করতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী থাকবে না। নিজেদের খাদ্য নিজেদের উৎপাদন করতে হবে। যাতে করে আমাদের কারও কাছে হাত পাততে না হয়। আমাদের মাটি উর্বর তাই আমরা নিজেরা ফসল ফলাব। আমার নিজের সব অনাবাদী জমি চাষের আওতায় এনেছি। মূল কথা হচ্ছে, উৎপাদন বাড়াতে হবে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। বিনা জামানতে যুব সমাজকে লোন দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তারা অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারে।


তিনি আরও বলেন, বিএনপি বলে বাংলাদেশটাকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিচ্ছি। এই যে এতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করলাম এগুলো ধ্বংসের নমুনা কি? তা আপনারাই বলুন। তারা তো এতিমদের টাকা মেরে খায়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলমান। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াই তারা এসে কমায়। আমরা প্রতিটি ঘর আলোকিত করতে চাই। আমরা যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না করতাম তাহলে তারা এতকিছু বলতে পারত না। ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ করার। 

আরও খবর