ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে জনতার ঢল! ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত সাবেক সংরক্ষিত এমপি’র বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবা-অস্ত্রসহ পুত্র আটক সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আজম কারাগারে কালাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চিকন আলী নামে এক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা নেতানিয়াহুর জন্য বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে পীরগাছায় মশাল মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় লালপুরের যুবকের মৃত্যু

রোজার কাফফারা আদায়ে অক্ষম হলে কী করবেন

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 29-03-2023 04:43:23 am

© সংগৃহীত ছবি


প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-স্বাভাবিক মুসলমানের জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ। তবে বিশেষ কোনো কারণে রোজা রাখতে অপারগ হলে শর্ত সাপেক্ষে রোজা না রাখা বা ভঙ্গ করার অনুমতি আছে। তবে সেই রোজা রমজান-পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। তেমনিভাবে শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ ছাড়াই ইচ্ছে করে কেউ রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারাও আবশ্যক হয়ে যায়।  

কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি তিনটি। যথা—একজন দাস মুক্ত করা, ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা বা ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো। এই তিন পদ্ধতির যেকোনো একটি দিয়ে কাফফারা আদায় করা যাবে। কাফফারা মূলত ইচ্ছেকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করার শাস্তি। তাই কাফফারা আদায়ে অক্ষম বা অপারগ হলে কী করতে হবে, তাও মহানবী (সা.) বলে দিয়েছেন। 


অক্ষম ও অপারগ ব্যক্তির জন্য কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে শিথিলতার সুযোগ রেখেছেন মহানবী (সা.)। কাফফারার তিন পদ্ধতির কোনো একটিও আদায় করার সামর্থ্য না থাকলে তাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এতে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির আশা করা যায়। তবে তাকে প্রকৃতই অপারগ হতে হবে। 


মহানবী (সা.)-এর জীবদ্দশায় এমন ঘটনা ঘটেছে। হাদিসে এসেছে, একবার রমজান মাসে এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি নিজেকে ধ্বংস করে ফেলেছি, আমি রোজা পালন অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি।’


রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, ‘তুমি একজন দাস মুক্ত করে দাও।’ 

তিনি বললেন, ‘সেই সক্ষমতা আমার নেই।’ 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তবে এর বদলে দুই মাস তথা ৬০ দিন রোজা রাখো।’ 

লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তেমন শারীরিক সক্ষমতা আমার নেই।’ 

তখন তিনি বললেন, ‘তবে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়াবে।’ 

লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তেমন আর্থিক সক্ষমতাও আমার নেই।’ 


তখন তিনি তাঁকে অপেক্ষা করতে বললেন। কিছুক্ষণ পর এক সাহাবি রাসুল (সা.)কে এক ঝুড়ি খেজুর হাদিয়া দিলেন। মহানবী (সা.) লোকটিকে ডেকে বললেন, ‘এগুলো নিয়ে গিয়ে গরিবদের মধ্যে সদকা করে দাও।’ 

লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই এলাকায় আমার চেয়ে গরিব আর কে আছে?’ 


এ কথা শুনে মহানবী (সা.) স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি হাসলেন, যাতে তাঁর দাঁত প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এরপর বললেন, ‘আচ্ছা তবে খেজুরগুলো তুমিই তোমার পরিবার নিয়ে খাও।’ (বুখারি: ১৩৩৭; মুসলিম: ১১১১) 


অতএব আমাদের করণীয় হলো—প্রথমত, রোজার কাফফারা ওয়াজিব হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, কাফফারা ওয়াজিব হলে তা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আদায় করতে হবে। তৃতীয়ত, তাও সম্ভব না হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রাপ্তির দোয়া করতে হবে।