শিবচর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির ও সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন ইরানের মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠল ইসরায়েল, ভয়াবহ ক্ষতির শঙ্কা সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: সিইসি মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ছাত্রজনতার মানববন্ধন বুধহাটা বিশিষ্ট সমাজ সেবক সুপদ সরকার আর নেই। সমুদ্রসীমার পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার শ্যামনগরে শিশু অধিকার বিষয়ে এনসিটিএফ সংলাপ দরগাপাশা'র ৬নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জামায়াত নেতা হাজী মো মশিউর রহমান কে সংবর্ধনা মাদক এবং কিশোর গ্যাং বড় সামাজিক সমস্যা ওসি আমিনুল ইসলাম বছরের পর বছর মানুষ এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে-শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি অনেক গণমাধ্যম জুলাই গণ অভুত্থানকে ধারণ করে না- এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অ্যালকোহল ও কাঁচামাল উদ্ধার জবির একটি হলের নাম 'বিশ্বজিৎ দাস হল' রাখার আহ্বান গণ অধিকার পরিষদ নেতার ইরান- ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লালপুরে বিক্ষোভ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর' আদমদীঘিতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত চার প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি

দেশের চা শিল্পের ১৭০ বছরের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড, ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন

চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দেশে এক বছরে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। কয়েক বছর ধরে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এবারই প্রথম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এমন সফলতা এসেছে। 

২০২৩ সালে দেশের বাগানগুলো থেকে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ লাখ কেজি বেশি চা উৎপাদন হয়েছে। 


বাংলাদেশ চা র্বোড সূত্র জানায়, চা শিল্পের উন্নয়নে ‘উন্নয়নের পথ নকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প’ নামে মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে চায়ের উৎপাদন ১৪০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নিত করতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।


চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট প্রায় ১০ কোটি ২৯ লাখ ৯৯ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। প্রতি মাসে চা উৎপাদনের তথ্য দেশের মোট ১৬৮টি বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে গত সোমবার পর্যন্ত ১৩০টি চা বাগানের তথ্য পাওয়া যায়। বাকি ৩৮টি চা বাগানের তথ্য এলে চা উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়বে। ২০২৩ সালে দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। ইতিমধ্যে তা অর্জিত হয়েছে। এখনো ৩৮টি চা বাগানের হিসাব পেতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এতে নিঃসন্দেহে ধরে নেয়া যায়, নতুন রেকর্ড সৃষ্টি বাংলাদেশের চা শিল্পের ১৭০ বছরের ইতিহাসে একটি বিশাল অর্জন। 


এরআগে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে সবগুলো বাগান থেকে মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৩৮ হাজার কেজি চা উৎপাদনের তথ্য এসেছিল। সে হিসাবে ২০২৩-এর ডিসেম্বর মাসে ১৩০টি বাগানে আরও ৬৬ লাখ ৫২ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। 


২০২১ সালে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল, এতদিন সেটাই ছিল চা শিল্পের রেকর্ড। এরপর ২০২২ সালে ১০ কোটি কেজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বছর শেষে উৎপাদন পাওয়া যায় ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজি। সবশেষ ২০২৩ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। 


দেশে ১৬৮টি চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা বাগান মৌলভীবাজার জেলায়। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম চায়ের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। 


আতিয়াবাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম জমাদ্দার জানান, ‘প্রতি বছরই আমরা চা চাষের আওতা বাড়াচ্ছি। পতিত জমিতে নতুন চারা রোপণ করা হচ্ছে। এর ফলও মিলছে। প্রতিবছরই উৎপাদন বাড়ছে।’


বাংলাদেশীয় চা সংসদ সিলেট ভ্যালি সভাপতি ও শ্রীমঙ্গল জেমস ফিনলের ভাড়াউড়া চা ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ, আগে অনেকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে চা বাগান কিনতেন। কিন্তু তারা উৎপাদনে মনোযোগী ছিলেন না। সেদিন আর নেই। বিশেষত বড় করপোরেট হাউসগুলো চা বাগানে বিনিয়োগ করার পর থেকেই উৎপাদন বাড়ছে। পুরনো গাছ সরিয়ে নতুন চারা রোপণ এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বেশি পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া এবার পরিমাণমতো বৃষ্টিপাত হওয়ায়ও উৎপাদন বেড়েছে বলে জানান তিনি। 


মৌলভীবাজারের শ্রী গবিন্দপুর চা বাগানের মালিক মো: মহসিন মিয়া মধু বলেন, দেশে চায়ের উৎপাদন খরচও অনেকে বেড়েছে। কিন্তু নিলামে অনেক সময় ভালো দাম পাওয়া যায় না। যারা প্যাকেটজাত করেন তারা বাজারে অনেক দামে চা বিক্রি করেন। কিন্তু বাগান মালিকরা তেমন দাম পান না। এই অবস্থা চলতে থাকলে তারা নিরুৎসাহিত হবেন। তাই চায়ের দামের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।


বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ও চা বিজ্ঞানী ড. রফিকুল হক জানান,  চায়ের উৎপাদন বাড়াতে সমতলে চা চাষে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিনামূল্যে চারা ও মেশিনারিজ বিতরণ করা হয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চল এবং সমতলেও চা চাষের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া বাগানগুলোর আয়তন আড়াই শতাংশ হারে বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলছে। এসব উদ্যোগের ইতিবাচক ফল মিলছে। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ‘বাগান মালিক, শ্রমিকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই সাফল্য এসেছে। বাগানগুলোতে পুরনো গাছ সরিয়ে নতুন গাছ লাগানোর দিকে নজর দেয়া হয়েছে। চা চাষে প্রণোদনা, সঠিক পরিকল্পনা, পুরনো গাছ সরিয়ে নতুন চারা রোপণ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর চা শিল্পে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। 

Tag
আরও খবর