প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার নামে নেওয়া ৩লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন ভুক্তভোগি ৫ নারী। মামলা প্রত্যাহারের পর ভুক্তভোগি মমতা বেগম ও শাহারা বেগমকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ওই ৫ নারীর ৪ জনকে ৫০ হাজার এবং ১জনকে ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। ৭ জন অভিযোগকারীর মধ্যে অভিযোগকারী লক্ষীপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী আসমা বেগম, ছাইফুল হোসেনের স্ত্রী ইঞ্জিরা বেগম, মৃত-হাসমত আলীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম, মৃত-আবেদ আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম, মৃত-তারামিয়ার স্ত্রী হাবিয়া বেগম ও ইয়াছিন আলীর মেয়ে বিউটি খাতুনকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগি নারীরা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দিতে ৫০ হাজার করে টাকা নেন নজরুল ইসলাম। অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত আমীর আলী মন্ডলের ছেলে। ঘর পাওয়ার পর টাকা ফেরত পেতে নাটোরের আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন মমতা ও শাহারা বেগম।
এঘটনায় অর্থ আত্মসাতের তদন্তের জন্য নাটোরের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (৪ মে) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নুর আহমেদ মাসুম গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢেকে ওই ৭ নারীর শুনানি নেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল উপস্থিত ছিলেন। তবে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম জবানবন্দি দিতে আসেননি।
ভুক্তভোগী ওই নারীরা জানান, বৃহস্পতিবার শুনানী গ্রহনের পর এদিন রাতে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম তাঁদের বাড়িবাড়ি গিয়ে নিজের ভূল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে এসেছেন। এবং তাঁদের টাকা ইউএনওর মাধ্যমে ফেরত পাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তাদের ৭জনকে ইউএনও তাঁর বাসভবনে ডেকে নেন শুক্রবার সকালে। সেখানে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে অভিযোগকারীদের সাথে বৈঠক করেন ইউএনও।
এদিকে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ইউএনওর বাসভবনের সামনে অবস্থান করেন। পরে বেলা ২টার দিকে ঘুষের টাকাসহ তাঁর বাসভবনের পেছনের প্রাচীরে মই বেঁধে সেখান দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় ভুক্তভোগী অনেক নারীকে।
নির্বাহী কর্মকর্তার ডাকবাংলোর সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে পার হওয়া নারীদের মধ্যে আসমা বেগম সংবাদকর্মীদের জানান, ‘সাংবাদিকদের দৃষ্টি এড়াতে ইউএনওর পরামর্শে তাঁর গাড়ি চালক জয়নাল হোসেনের সহায়তায় টাকাসহ মই বেয়ে প্রাচীর অতিক্রম করেছিলেন।’
ঘুষের টাকা ফেরত পেয়ে বাড়ি ফেরার পথে গুরুদাসপুর থানা মোড়ে সংবাদকর্মীদের সাথে কথা হয় অভিযোগকারী নারীদের। তাঁরা বলেন, ইউএনও শ্রাবনী রায় বৃহষ্পতিবার রাতে টাকা ফেরত দেওয়া জন্য মুঠোফোনে শুক্রবার তাঁর সরকারি বাসভবনে আসতে বলেছিলেন।
তবে নির্বাহী কর্মকর্তা টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে ৭ নারীর কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় স্থানীয় মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তিনি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে ওই নারীদের বাসভবনে ডেকেছিলেন ।
১ দিন ৬ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
২০ দিন ১৭ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
২৩ দিন ৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
২৩ দিন ৬ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৩৬ দিন ১৪ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৪৩ দিন ১২ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৪৫ দিন ১০ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৪৭ দিন ৯ ঘন্টা ১ মিনিট আগে