পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক! জাগো মুসলমান - আর. এম. কারিমুল্লাহ আমরা খামেনিকে এখনই হত্যা করব না: ট্রাম্প যে কারণে পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা জরুরি জানভির মিউ মিউ লুকে লন্ডনের ফ্যাশন সন্ধ্যায় ঝলকানি লাখাইয়ের গোপিনাথ লিবিয়ায় অপহরণের শিকার ; শোনালেন নির্যাতনের কাহিনী শান্তিগঞ্জে জামায়াতের সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল পক্ষের প্রস্তুতি সভা ক্ষেতলালে সরকারি পুকুর লীজকে কেন্দ্র করে নারী উদ্যোক্তাকে মারধর কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে দু'জনের মৃত্যু ইশরাকের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল অফেন্সের’ অভিযোগ আসিফ মাহমুদের শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি, চালকের আসনে বাংলাদেশ তেহরানে দূতাবাসের ৪০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে: পররাষ্ট্রসচিব সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪৪ জন অবশেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো জিল্লুর রহমানকে দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে দুই কন্যা শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

সামেক হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে হয়রানির অভিযোগে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

পায়ের ভাঙাহাড়ে বসানো প্লেট খুলে ফেলার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অর্থপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় হয়রানির স্বীকার রোগির স্ত্রী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বরারব অভিযোগ দাখিল করেন।


এরই প্রেক্ষিতে পরিচালকের নির্দেশে এক সপ্তাহ পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহকারী আব্দুস সাত্তার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।


গঠিত তদন্ত টিমের প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অর্থপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ চিত্ত রঞ্জন রায়, তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ অজয় কুমার সাহা ও তদন্ত কমিটির সদস্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. কানিজ ফাতিমা। নির্দেশনা প্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সার্বিক ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখে পরিচালক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


অভিযোগকারি সাতক্ষীরা পৌর এলাকার মেহেদীবাগের বাসিন্দা আছমা খাতুন জানিয়েছেন, তার অসুস্থ্য স্বামী মাসুম হোসেনকে নিয়ে ও তার শশুর সিরাজুল ইসলাম বাবু গত ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ইতোপূর্বে ভেঙে যাওয়া ডান পায়ের থাই সংলগ্ন বসানো প্লেট বের করার জন্য। ঐদিন ভর্তি হন মেডিকেলে। ৩ দিন পর তাকে অর্থোপেডিক বিভাগের ১৭ নং বেড দেওয়া হয়। এরপর অপারেশন নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। এক পর্যায়ে পরিচালককে জানানোর পর তিনিই ২৫ জানুয়ারী অপরেশনের দিন নির্ধারণ করেন।


আছমা খাতুন তার লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ঐদিন সকালে তার স্বামীর পায়ের প্লেট বের করার জন্য ওটির আগের রুমে নিয়ে রাখা হয়। সেখানে সকাল থেকে অর্থপেডিক বিভাগের রোগির অপারেশন চলছিল। শুরু থেকেই পর্যায়ক্রমে ৪ জন রোগীর অপারেশন হয়। তখন সেখানে ৫ জন অর্থোপেডিক ডাক্তার ছিলেন। এরপর ৪ জন ডাক্তার ওটি থেকে বের হয়ে যান।


অবশেষে ডাক্তার ভবতোষ কুমার মন্ডল (বি কে মন্ডল) তার স্বামীর অপরেশন শুরু করেন। পা অপেন করেই প্লেটের দুইটা স্ক্রুপ খুলে আর খোলা যাচ্ছেনা বলে ওই স্ক্রুপ দুটি লাগিয়ে দিয়ে সেলাই করে দেন এবং তাদেরকে জানান ওই প্লেট থাকলে কোন সমস্যা হবেনা।


বিষয়টি শুনে চরম হতাশ হয়ে পরদিন সকালে পরিচালককে জানালে তিনি নিজেই তাদেরকে জানান, স্ক্রুপের মাথা সমান হয়ে যাওয়ায় স্ক্রুপ খোলা যাইনি। ২৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষের কাছে ছাড়পত্র চাইলে তারা দিতে রাজি হননি। একপর্যায়ে রোগি নিয়ে মেডিকেল ছেড়ে বেরিয়ে এসে শহরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে যাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিক আমার স্বামীর অপরেশন করে প্লেট বের করে বেডে দেন। বের করা প্লেট ও স্ক্রুপ দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে তার মাথা ক্ষয়ে যাইনি। একেবারেই নতুন। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসা নিয়ে আমরা বাড়িতে চলে আসি। এখন প্রায় সুস্থ্য আমার স্বামী।


অভিযোগকারী বলেন, স্বামীর চিকিৎসা নিতে গিয়ে যে প্রতারণা ও হয়রানি হয়েছি এর সাথে যেসমস্ত চিকিৎসক ও সেবিকারা জড়িত তদন্তে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, দু একটি ঘটনার সুষ্ট তদন্ত হলে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কতিপয় চিকিৎসকদের অপচিকিৎসা ও আর্থিক ক্ষতি থেকে জেলাবাসী মুক্তি পাবে।


আরও খবর