হে আন্ধারমানিক নদ!

তোমার মুগ্ধতায় আটকে যাবার বহুরূপী রূপ আছে;

তুমি এক রূপবতী স্রোতস্বিনী মোর কাছে।

কত নদে এই সবুজ বাংলা ঘেরা,

তবুও তোমার সৌন্দর্য্য মোর কাছে সেরা।

দু'ধারে কেওড়া,ছইলা প্রাচীরের বন,

সবুজ বৃক্ষরাজির শ্যামলিমায় পাখ-পাখালিদের সিংহাসন।

তীরে ঘাসের ডগায় শিশিরের লেপ্টে থাকায় তোমার রূপ বাড়ায়,

প্রভাতে ঐ কোমল ঘাসে রাখাল ধেনু চড়ায়।

শেষ বিকালে গাংচিল বকদের উড়ে চলা,

দক্ষিণা বাতাসে ঢেউদের পাগলাটে নৃত্যে মনে লাগে দোলা।

তোমার ক্রোড়ে পিঁপাসা মিটানো আকাশী রঙা জলরাশি,

ইচ্ছে করে কচুরিপানা,শ্যাওলা হয়ে তোমার বুকে ভাঁসি।

তোমার বুকে তরী নিয়ে গান গেয়ে চলে মাঝি,

তোমার শরীরে লেগে যেতে ইচ্ছা করে ছোট্ট ডিঙি সাঁজি।

বর্ষায় পূর্ণ হও ঘূর্ণায়মান জলস্রোতে,

চারিদিক মুখরিত হয় স্রোতের কল কল ধ্বনিতে।

পূর্ণিমার রাত্রে চারিদিক চাঁদের প্রেমময়ী আলো,

ঐ স্বচ্ছ পানিতে একটু স্পর্শেই হীরার মত জ্বলো।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024