বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। এই সূচক অনুযায়ী, পাকিস্তান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ১০২তম ও ১১১তম। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। দেশ দুটি যথাক্রমে ৬৯ এবং ৬০তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৪তম।সেই হিসাবে গতবারের চেয়ে অবস্থান এগিয়েছে। কিন্তু স্কোর কমেছে। এবারের ক্ষুধা সূচকে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯, যা আগের বছর ছিল ১৯ দশমিক ৬। অর্থাৎ বাংলাদেশ মাঝারি মাত্রার ক্ষুধায় আক্রান্ত। 


বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) জিএইচআইয়ের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের বিশ্ব ক্ষুধাসূচক প্রকাশ করা হয়। প্রতিবছর কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে এ সূচক তৈরি করে।


বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে কারও স্কোর শূন্য হলে বুঝতে হবে, সেখানে ক্ষুধা নেই। আর স্কোর ১০০ হওয়ার অর্থ হচ্ছে, সেখানে ক্ষুধার মাত্রা সর্বোচ্চ। ক্ষুধাসূচক ১০ থেকে ১৯ দশমিক ৯-এর মধ্যে থাকলে ওই দেশ ‘মাঝারি মাত্রার’ ক্ষুধা আক্রান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। 


এদিকে, এবারের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের অন্তত নয়টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা ‘উদ্বেগজনক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার স্কোর ৩৫.১ থেকে ৪৯.৯। এসব দেশ হচ্ছে- সোমালিয়া, বুরুন্ডি, দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইয়েমেন, মাদাগাস্কার, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, লেসেথো ও নাইজার। 


অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে কম ক্ষুধার দেশগুলো হলো- বেলারুশ, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, চিলি, চীন, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, হাঙ্গেরি, কুয়েত, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, মন্টিনিগ্রো, নর্থ মেসিডোনিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উরুগুয়ে।


উল্লেখ্য, একটি দেশে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার হিসেব করে ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক বা জাতীয়-যেকোনো পর্যায়ে ক্ষুধার মাত্রা নির্ণয় করতে এই সূচকগুলো ব্যবহার করা হয়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024