|
Date: 2023-12-13 15:13:54 |
স্কুল অব আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টে এর পক্ষ থেকে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবার তাদের সাথে ছিল ঘাসফুল বিদ্যালয় এর কচি কাচারা। পবিপ্রবি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে খোলা আকাশের নিচে পরিবেশের সাথে মিশে পরিবেশের যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করাটাই ছিল এবারের মূল লক্ষ্য।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ২০২১-২০২২ সেশনের স্বেচ্ছাসেবী , উৎসাহী কিছু মুখ এবারের এই আয়োজনটি করেছে। স্কুল অব আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর পক্ষ থেকে এটি তাদের এককভাবে করা প্রথম প্রোগ্রাম। মূলত একটি সংগঠনের প্রতি ভালোবাসা এবং পরিবেশকে সুন্দর করার ইচ্ছা থেকেই তাদের এই উদ্যোগ।
প্রোগ্রামে দিকনির্দেশনা এবং আগ্রহ দিয়ে পাশে ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আফিয়া তাহমিন জাহিন এবং সহ- প্রতিষ্ঠাতা ফারদিন হাসান।
এছাড়াও সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উক্ত অনুষদের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থীরা। সকলের নিরলস পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ে একটি সফল শিক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় পবিপ্রবি শহীদ মিনার চত্বরে।
পরিবেশের যত্ন নেওয়ার প্রথম শর্ত হলো পরিবেশ পরিষ্কার রাখা। তাই এই কচি কাচাদের শুরুতেই পরিবেশ পরিষ্কার রাখার জন্য ডাস্টবিনের যথার্থ ব্যবহার সম্পর্কে বলা হয়। তাদের ব্যবহৃত চিপসের প্যাকেট, জুসের বোতল, পলিথিন ইত্যাদি যেনো তারা যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলে। হাতের কাছে ডাস্টবিন হয়তো সবসময় থাকে না , তাই আবর্জনাগুলো যেনো তারা ব্যাগে বা পকেটে জমিয়ে রেখে যথাযথভাবে ডাস্টবিনে ফেলে ।আবর্জনা অনেক রোগের আস্তানা , তাই আমাদের আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। এ পর্যায়ে স্কুল অব আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টের পক্ষ থেকে ঘাসফুল বিদ্যালয়কে একটি ডাস্টবিন উপহার দেওয়া হয়। যাতে তারা এই বিদ্যালয়ে থাকাটুকু সময়ে যত্রতত্র ময়লা না ফেলে এখান থেকেই ময়লা যথাযথ স্থানে ফেলার অভ্যাস করতে পারে এবং নিজের বিদ্যালয় আঙিনা পরিষ্কার রাখতে পারে।
যেহেতু , তাদের প্রোগ্রামের স্লোগান ছিল পুরাতনকে নতুন বানাই। তাই পুরাতনকে নতুন বানিয়ে কিভাবে চারপাশের দূষণ কমানো যায় , ফেলনা জিনিসকে ফেলে না দিয়ে কিভাবে দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস বানানো যায় এই বিষয়ে তাদের ধারণা দেওয়া হয়। কিভাবে আনন্দের সাথে আমাদের চারিপাশ পরিষ্কার ও সুন্দর রাখা যায় , এই বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা ও আগ্রহের উদ্দীপনা যোগান দেওয়া হয়।
প্রোগ্রামের শেষ পর্যায়ে তাদের জন্য কিছু প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে উপহার দেওয়া হয় । সকলের জন্য উপহারের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আফিয়া তাহমিন জাহিন এবং সহ- প্রতিষ্ঠাতা ফারদিন হাসান উপহারগুলো তুলে দেন বিজয়ীদের হাতে। সবশেষে, সেই ছোট্ট শুভ্র শিক্ষার্থীদের জন্য নাস্তার আয়োজন করা হয়। আয়োজক দলটি তাদের মাঝে নাস্তা বিতরণ করেন।এই পুরো আয়োজন জুড়ে তাদের অংশগ্রহণ ছিল অনবদ্য। স্বতঃস্ফূর্ততা ও অনেক আনন্দের সাথে তারা এই শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে। এখানেই ছিল সংগঠনটির মূল সার্থকতা।
আয়োজনের সর্বশেষে , সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফারদিন হাসান বলেন,"পরিবেশ আমাদের একমাত্র আবাসস্থল, আমাদের মূল্যবান সম্পদ। কিন্তু ,আমাদের এই মহামূল্যবান সম্পদের যত্ন নেওয়ার প্রতি আমরা সন্দিহান।তাই , আমাদের নিজের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখতে এখন থেকেই উদ্বুদ্ধ হতে হবে।" সেই সাথে প্রতিষ্ঠাতা আফিয়া তাহমিন জাহিন আরও যোগ করেন,"শেখার এই মোক্ষম সময়টি থেকেই যদি সবাইকে সচেতন করে তোলা যায় , তবেই আমরা সুস্থ ও সুন্দর পৃথিবী লাভ করবো।"
স্কুল অব আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্ট মূলত এমন সাবলীল ও সুন্দরভাবে শিক্ষামূলক ,সচেতনতামূলক আয়োজন করে থাকে। পরিবেশকে সুন্দর ও সুস্থ রাখা এবং এ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
© Deshchitro 2024