|
Date: 2023-12-13 15:52:00 |
হ্নীলায় ঠাট্টা করার তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরই জেরধরে স্বশস্ত্র হামলায় ফাঁকা গুলিবর্ষণ এবং সাবেক মেম্বার ও সংবাদকর্মী জামাল উদ্দিনের বসত-বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়,১৩ডিসেম্বর সকাল ১১টারদিকে হ্নীলা উলুচামরী কোনাপাড়ার জাফর আলমের পুত্র সিফাত, আবুল কালামের পুত্র মুজিব দোকানে ভাত নিয়ে যাওয়ার পথে নাটমোরা পাড়া আব্দুল মজিদের দোকানের সামনে পান খেতে দাড়ায়। এখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখে সিফাত-মুজিবেরা কার বিয়ে জানতে চাইলে দোকান থেকে একজন উপহাস করে জামাল মেম্বারের বিয়ে বলে। আরেক জন বলে জামাল মেম্বার ৪জন ছেলে-মেয়ের জনক। তাদের মধ্যে একজন বলে উঠে তাহলে কি জামাল মেম্বার হিজড়া নাকি প্রশ্ন করায় স্থানীয় মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আব্দুল মালেক (৪৭) এবং সিফাত-মুজিবদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। এতে সিফাত-মুজিব আহত হলে হ্নীলা ষ্টেশনে কাপড়ের দোকানে থাকা সিফাতের ভাই আব্দুল্লাহকে অবহিত করে। তখন আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে এসে ভাইকে মারার কারণ জানতে চাইলে তাকেও লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে ঘরে গিয়ে জামাল মেম্বারসহ কয়েকজন মিলে মারধর করে বলে অভিযোগ করে। এখবর পেয়ে উলুচামরী কোনার পাড়ার মৃত রুহুল আমিন প্রকাশ লুলু হাজীর পুত্র এবং সিফাতের পিতা জাফর আলম, চাচা আনোয়ার হোছন প্রকাশ লেড়াইয়া, মৃত ছিদ্দিক আহমদ প্রকাশ ছিদ্দিক হাজীর পুত্র মোঃ তাহেরের নেতৃত্বে একটি গ্রæপ স্বশস্ত্র অবস্থায় এসে জামাল মেম্বারকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে রাস্তায় থাকায় মালেককে মারধর করে এবং জামাল মেম্বারের ঘরে ভাংচুর চালায়। এমতাবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই রাউন্ড গুলিবর্ষণের শব্দ শুনতে পায় বলে জানান। এরপর হামলাকারীরা চলে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী এবং টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সংবাদকর্মী ও সাবেক মেম্বার জামাল উদ্দিন জানান,কোথায় কি হয়েছে জানিনা অথচ উপরোক্তরা মুখোশ পড়ে এসে আমার বাড়ি ভাংচুর, ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও স্বর্ণ, নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত আব্দুল মালেককে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
অপর পক্ষের আহত সিফাত জানান,আমরা ভাত নিয়ে যাওয়ার পথে আব্দুল মজিদের দোকানে পান খাওয়ার জন্য দাড়ায়। এতে একটি বিয়ের আয়োজন দেখে কার বিয়ে জানতে চাইলে দোকানে বসা লোকজন জামাল মেম্বারকে নিয়ে অবিবাহিত, বিবাহিত ও নিঃসন্তান বলে উপহাস করে। তা সত্য কিনা জানতে চাইলে মালেক আমাদের গালি দিয়ে মারতে শুরু করে। বিষয়টি বড় ভাই আব্দুল্লাহ মনিরকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসে। কি ঘটনা কেন মারা হয়েছে জানতে চাইলে তখন মালেক ও জামাল মেম্বার বলে এখানে এলে কেউ ফিরে যেতে পারেনা বলে আমার ভাইকে লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে। খবরটি আমার পরিবারে জানালে আমাদের উদ্ধার করতে এলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এখন আহত আমার বড় ভাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উক্ত ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওসমান গণি সাংবাদিকদের জানান,অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত স্বাপেক্ষে সংঘর্ষ ও ঘর-বাড়িতে হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ###
© Deshchitro 2024