|
Date: 2023-12-25 06:56:50 |
টেকনাফে সাগর ও নদী অরক্ষিত। বানের পানির মতো টেকনাফ থেকে মিয়ানমারে জ্বালানি, ভোজ্য তৈল, পেঁয়াজ, রসুন, চাল, ডাল,মরিচ ও সব্বজি জাতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র চলে যাচ্ছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মিয়ানমারে দীর্ঘ প্রায় তিন মাস ধরে সে দেশের স্বাধীনতা কামী আরসার সাথে রাস্ট্রের সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ চলছে। ফলে সারা দেশের সাথে বানিজ্য প্রায় বন্ধ। স্থানীয় লোকজনদের কে এক স্থান হতে অন্য স্থানে যেতে দিচ্ছে না। কারফিউ বলবৎ রয়েছে। ফলে খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেষে যারা বসবাস করছে তাদের নিত্য দিনের খাবারের উপকরণ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে। নিত্যপণ্যের যেমনি সংকট হয়ে পড়ছে তেমনি দাম ও অধিক চড়া। এ সুবাদে টেকনাফ উপজেলার মুদির দোকানদার, সব্বজির আড়তদার চোরাচালানী গড় ফাদারদের সাথে আতাত করে সরকারের ভুর্তকি দিয়ে বিদেশে থেকে আনা লক্ষ লক্ষ টাকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বার্মায় পাচার করে দিচ্ছে। সরে জমিনে পরিদর্শন করে জানা গেছে বেশীর পণ্য টেকনাফ সদর, বাহার ছড়া ও সাবরাং ইউনিয়নের পশ্চিম বঙ্গোপসাগর দিয়ে মাছ শিকারের ফিশিং বোট ও নৌকা দিয়ে পাচার হচ্ছে। দিনের বেলায় চোরা চালানীরা পৌরসভার বড় বড় মুদির দোকান ও আড়ত থেকে মালামাল ক্রয় করে টমটম, অটোরিকশা সি,এন,জি ও বিভিন্ন যানবাহন যোগে সাগরের পাশে অবস্থিত দোকান, ঘর বাড়ী ও ঝোপ জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে সন্ধ্যা বেলা হতে আরম্ভ করে ভোর রাত পর্যন্ত পাচার করে বলে প্রত্যক্ষ দর্শী লোক জন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র মিয়ানমারে পাচার হওয়ায় টেকনাফ সহ জেলায় জিনিস পত্রের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবর্তী পরিবারের যেমনি নাভিশ্বাস উঠেছে তেমনি তৃতীয় ও চুর্তথ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীরা পড়েছে মহা বিপাকে। জোয়ারের পানির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র মিয়ানমার চলে গেলে ও কাহারো মাথা ব্যথা নেই। এমন কি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে বারংবার বলার পর ও কোন আইনগত ব্যবস্থা ও টহল ব্যবস্থা জোরদার করছে না বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এ ব্যাপারে টেকনাফের সচেতন মহল প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
© Deshchitro 2024