|
Date: 2024-04-07 03:05:56 |
সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে চূড়ান্ত হয়েছে পণের টাকা। বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে মুক্তিপণের অর্থ নিয়ে দরকষাকষির পর এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে ঠিক কত টাকা জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে জলদস্যুদের দেওয়া হবে, তা প্রকাশ করা হয়নি।
মুক্তিপণ কোন প্রক্রিয়ায় দস্যুদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, এখন আলোচনা চলছে সেটি নিয়ে। এরপর ঠিক করা হবে কবে জিম্মি নাবিকরা মুক্তি পাবেন সেই দিনক্ষণ। জানা গেছে, ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে রাখতে চাচ্ছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। সেভাবে কাজ করতে বীমা প্রতিষ্ঠানকে চাপও দিচ্ছে তারা। তবে জলদস্যুরা মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চাচ্ছে না। মূলত মালিকপক্ষকে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রাখতে এমন কৌশলে এগোচ্ছে জলদস্যুরা। এদিকে মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছে কেএসআরএম গ্রুপ।
তবে মুক্তিপণের অঙ্ক কত, এ বিষয়ে কিছু জানাননি তারা। জানা গেছে, জলদস্যুরা ছেড়ে দিলে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এতে থাকা ২৩ নাবিকের বিকল্প আরো ২৩ নাবিককে প্রস্তুত করে রেখেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। এখন যারা জাহাজে আছে তাদের মানসিক অবস্থা যাচাই করে বিকল্প নাবিকদের সোমালিয়ায় পাঠাবে তারা। এখন যারা জিম্মি আছেন তাদের কেউ যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন, তখন বিকল্প নাবিকরা জাহাজের হাল ধরবেন।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করার ব্যাপারে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। কিছু বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। বীমা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আমরা সে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা যাবে না। জিম্মি নাবিকদের মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে আমরা সবাইকে জানিয়ে দেব। মুক্তিপণের মাধ্যমেই নাবিকরা মুক্ত হচ্ছেন কি-না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুক্তিপণ ছাড়া সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার নজির নেই। দয়া করে আর বেশি কিছু জানতে চাইবেন না। কৌশলগত কারণে সব প্রশ্নের উত্তর আমরা এখনই দিতে পারব না। নাবিকদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি, জিম্মি নাবিকদের মুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপের কারণে এবারে মুক্তিপণের টাকা পেতে জলদস্যুদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় তারা মুক্তিপণের টাকা পাবে, সে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাই জিম্মিদের মুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না তারা। তবে ঈদের আগে নাবিকরা মুক্ত হচ্ছেন না– এটি অনেকটা নিশ্চিত।
© Deshchitro 2024