ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল শুক্রবার চার কেজি ৪৯২ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা থেকে আসা শহীদ মিয়া নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের টিম এই স্বর্ণ উদ্ধার করে। উদ্ধার করা স্বর্ণের বাজারমূল্য চার কোটি ৬০ লাখ টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার এই তথ্য দেন।


বিমানবন্দর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তিকে থানায় (বিমানবন্দর) সোপর্দ করে ফৌজদারি মামলা করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা। 


প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিএস ৩৪৬ নম্বর ফ্লাইট গতকাল সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর যাত্রী শহীদ মিয়াকে আটক করে তল্লাশিতে প্রায় সাড়ে চার কেজি স্বর্ণ পাওয়া যায়। তিনি জানান, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোর্ডিং গেট, ট্রানজিট পয়েন্ট, গ্রিন চ্যানেলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়ে তাঁরা যাত্রী শহীদ মিয়াকে সন্দেহের মধ্যে রাখেন। এক পর্যায়ে তাঁর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়।


সকাল সাড়ে ৯টায় গ্রিন চ্যানেলের স্ক্যানিং মেশিন অতিক্রম করার পর তাঁকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর টিমের সদস্যরা চিহ্নিত করেন। এরপর তাঁর কাছে স্বর্ণালংকার বা স্বর্ণজাতীয় কোনো কিছু আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। তিনি তাঁর কাছে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার থাকার কথা স্বীকার করেন। তবে তাঁর কাছে ৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

আর কোনো স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করায় তাঁকে আর্চওয়ে করানো হয়। তাঁর পরনের জামার ওজন অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় তা (জামা) খুলে স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করা হয়। 

জামাকাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকানো স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তাঁকে নেওয়া হয় কাস্টমস হলে। পরে তাঁর পরনের ১৬ পিস জামা (৯টি শর্ট প্যান্ট, ছয়টি স্যান্ডো গেঞ্জি এবং একটি ফুলপ্যান্ট) যাত্রী ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের উপস্থিতিতে ক্যানোপি-১-এ নিয়ে স্থানীয় স্বর্ণকার দিয়ে পোড়ানো হয়। এতে সেখানে অপরিশোধিত চার হাজার ৪৬২ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়।


প্রদীপ কুমার বলেন, জব্দ করা স্বর্ণ কাস্টম হাউস, ঢাকার শুল্ক গুদামে জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান। আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024