রাজশাহীতে শীতের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। শুক্রবার সকালে শহরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বছরেরও সর্বনিম্ন। উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন।

রাজশাহী আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পঞ্চগড়ের পর শুক্রবার রাজশাহীতে দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় এটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হচ্ছে।’

শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বাড়ছে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বিভিন্ন শীতজনিত রোগ, যেমন ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বেড়েছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক উম্মে ছালমা জানান, ‘ঘন কুয়াশার কারণে ফসলি জমিতে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। যদি কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে রবি ফসলের ক্ষতি হতে পারে।’

বিগত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে রাজশাহীর জনজীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। সকাল বেলার রোদ তেমন কোনো উষ্ণতা ছড়াচ্ছে না। বিশেষ করে দিনমজুর, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ঠান্ডার প্রকোপ হয়ে উঠেছে অসহনীয়।

শীত মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে আরও সহযোগিতা দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024