
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরশহরের শান্তা মহল্লার মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা ভালোবেসে পাশের বদলগাছী উপজেলাে তাজপুর গ্রামের রাসেল হোসেনকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের আড়াই বছর এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এখন রাসেল হোসেন তাঁর স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের পাঁচ লাখ যৌতুক আনতে বলেন। যৌতুকের এই টাকা না পেয়ে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আক্কেলপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাজিয়া সুলতানা বলেন, একটি প্রশিক্ষণে রাসেলের আমার পরিচয় হয়। সেখানে থেকে আমাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। প্রশিক্ষণ শেষে আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে যোগদান করি। চাকুরিরত অবস্থায় আমাদের সর্ম্পক ভালোয় চলছিল। আমরা ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়াহ মোতাববেব বিবাহ করি। আমাদের ইশরাত বিনতুন মালিহা নামের আড়াই বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার স্বামী গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরিতে যোগদান করেন। আমিও সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে চাকুরি করছিলাম। হঠাৎ করে আমার স্বামী আমাকে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় তাঁর সঙ্গে থাকতে বলেন। আমি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় স্বামীর কাছে চলে যাই। হঠাৎ করেই গত রমজান মাসে আমার স্বামী আমার বাবার কাছ থেকে যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা আনতে বলেন। আমি আমার বাবার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করি। এতে আমার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট ও মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছিলেন। গত ২৭ মার্চ আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন বাবার বাড়িতে অবস্থান করছি। এখন আমার স্বামী তাঁর ঔরসজাত সন্তান ও আমাকে অস্বীকার করছেন। আমি ও আমার সন্তান স্বামীর কাছে যেতে চাই। আমাকে ও আমার সন্তানকে স্বামীর গ্রামের বাড়িতেও পরিবারের লোকজন উঠতে দিচ্ছেন না।
জানতে চাইলে রাসেল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি দেন মোহর পরিশোধ করে আমার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাকে তালাক দিয়েছি। আমি কখনো আমার মেয়েকে অস্বীকার করিনি। আমি মেয়েকে আমার কাছে রাখতে চাই। আমার মেয়েকে কাছে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এপ্রসঙ্গে রাজিয়া সুলতানা বলেন, রাসেল তাঁর ঔরসজাত সন্তানকে অস্বীকার করেছে এটা আমার আত্বীয় স্বজনেরা সবাই জানেন। আমি কোন তালাকনামা ও দেনমোহরের টাকা পাইনি। রাসেল আপনাদের কাছে অসত্য কথা বলেছেন।