|
Date: 2025-06-20 23:50:28 |
মৌলভীবাজারে এনসিপির সমন্বয় কমিটি বাতিলের দাবিতে
মৌলভীবাজারে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটি নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে সদ্যঘোষিত এনসিপির জেলা কমিটির অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেন। অবশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল পেজে কেন্দ্রীয় নেতা প্রীতম দাসকে মৌলভীবাজারে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে শুক্রবার রাত ১০টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ছাত্রজনতার ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মাননববন্ধনে বক্তব্য দেন, জাবেদ রহমান, শাহ উসমান আলী জাকি, নাজমিন জেনি, জুবায়েল আহমদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সাদেক খান, মাসনুন আল হামিদ, শরিফ খান, বেলাল আহমদ, মোঃ রাজু, আব্দুল্লাহ আল হোসাইন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সদস্য সচিব প্রীতম দাস বাণিজ্যের মাধ্যমে এ কমিটি করেছেন। তার পছন্দের মানুষ কমিটিতে যুক্ত করে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন করছেন তিনি। এসয় মানববন্ধকারীরা
এনসিপির মৌলভীবাজার জেলার সমন্বয়ক কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাতিল করে বিতর্কমুক্ত কমিটির দাবি তুলেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুনে 'এক দুই তিন চার, প্রীতম তুই গাদ্দার', ছাত্রজনতার রক্তের সাথে গাদ্দারীকারী প্রীতম দাশকে বয়কট করা হলো নানা স্লোগানসহ লেখা ছিল।
প্রসঙ্গত গত বুধবার মৌলভীবাজার জেলায় ৩১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সংগঠন। কমিটি ফেসবুকে প্রচারের পর থেকে কমিটি ঘিরে বিতর্ক-সমালোচা শুরু হয়। বিশেষ করে যুগ্ন সমন্বয়কারী ফাহাদ আলম, কমিটির সদস্য শ্রীমঙ্গল রাজঘাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বৈশিষ্ট্য গোয়ালাসহ একাধিক সদস্যদের বিরুদ্ধে সরাসরি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে এর সমর্থনে অনেকে ছবি, ভিডিও পোস্ট করেন। এছাড়া কমিটিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত অনেকেকে যুক্ত না করা, আওয়ামীগ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া, অনেকের অনিচ্ছাসত্ত্বে কমিটিতে যুক্ত করা, প্রধান সমন্বয়কারীসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত একনিষ্ঠ ত্যাগী ছাত্রজনতার সাথে আলোচনা না করে কমিটিতে প্রীতম দাসের পছন্দের মানুষকেকরারকমিটিতে যুক্ত করার অভিযোগ ওঠে।
© Deshchitro 2024