সাইন্সল্যাবের শিরিন ভবনে আগুনে পুড়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ছয়টি প্রাণ। এই ছয় প্রাণের পাঁচ জনই আছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে। একজন আছেন ওয়ার্ডে। তাদের চিকিৎসা চলছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সরকারি খরচেই চলছে আহতদের চিকিৎসা।


রোববার সকালে প্রতিদিনের মতো ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স অফিসে আসেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। হঠাৎ বিকট শব্দে চুরমার হয়ে যায় শিরিন ভবনের তৃতীয় তলা। আসবাবপত্র ও দেয়াল রাস্তার ওপরে গিয়ে পড়ে। এসময় তিনজন মারা যায়। আহত হয় ১৪ জন। এদের মধ্যে পথচারীও ছিলো।


আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীকেই প্রথমে নেয়া হয় পপুলার হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আহতদের পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে ৬ জনকে পাঠানো হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।


সোমবার (৬ মার্চ) সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি তিনজন এখন পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত।


তবে এদের সবার শ্বাসনালী পোড়া আছে। তাই যেকোনো সময় সবার অবস্থাই খারাপ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।


সোনালীনিউজকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, আমরা কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলতে পারছি না। তাই সবাইকেই অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। একজনের ৪৪ একজনের ৩৮ শতাংশ ও একজনের ৩৭ শতাংশ পোড়া আছে। এই তিনজনই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।


আহতদের স্বজনরা চিকিৎসায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু রোগী নিয়ে চিন্তার ছাপ সবার চেহারায়। রোগীদের সেবা করে চলেছেন স্বজনরা। যাতে দ্রুত আহত রোগী সুস্থ্য হয়ে ওঠেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024