ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে জনতার ঢল! ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত সাবেক সংরক্ষিত এমপি’র বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবা-অস্ত্রসহ পুত্র আটক সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আজম কারাগারে কালাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চিকন আলী নামে এক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা নেতানিয়াহুর জন্য বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে পীরগাছায় মশাল মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় লালপুরের যুবকের মৃত্যু

৬২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঐতিহাসিক সরকারি বাঙলা কলেজ।

বাঙলা কলেজ নামটি শুনলেই আমাদের মনে যে দিকটি দোলা দেয় তা হলো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালিরা যে সংগ্রাম করেছিলেন তা ই বিশ্বের বুকে মাতৃভাষা আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। বাংলা ভাষার জন্যে রক্তদানের কারণে যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তারিখে। মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছিলেন সে সময়ের দেশ ও ভাষা প্রেমিক শহীদ রফিক,সালাম,বরকত,শফিউর, আউয়াল সহ আরো অনেকে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালিরাই প্রথম নজির হিসেবে দেখিয়েছিল। এই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত এমনই একজন দেশ ও ভাষা প্রেমিক তমুদ্দিন মজলিশের ( ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ) স্থপতি পৃন্সিপাল আবুল কাসেম। ১৯৬২ সালের ১ লা অক্টোবর তারিখে তিনি বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাঙালির জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা ও বাংলাকে সকল পর্যায়ের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তিনি এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এই কলেজের সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক পৃন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ এবং পৃন্সিপাল ( অধ্যক্ষ ) ছিলেন ভাষা সৈনিক, তমুদ্দিন মজলিশের অন্যতম সংগঠক দেশবরেণ্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাসেম। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হায়েনারা কলেজটিকে বদ্ধভূমিতে ( বর্তমানে চিহ্নিত ) পরিণত করে রাখে এবং বাঙলা কলেজের সাইনবোর্ড নামিয়ে উর্দু কলেজ নামে সাইনবোর্ড স্থাপন করে। যদিও পূর্ব থেকেই বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা পশ্চিমা শাসকেরা ভালো ভাবে নেয়নি। ১৯৮৫ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে অধ্যাপক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন কলেজটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজটি রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ২৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৩ টি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। কলেজটিতে ত্রিশ হাজারের উপরে শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজটিতে দুইটি ১০ তলাসহ মোট ৮ টি ভবন রয়েছে। এবং ছাত্রদের থাকার জন্য ২ টি ছাত্রাবাস ও যাতায়াতের জন্য বর্তমানে ২টি বাস রয়েছে। লাইব্রেরী,অডিটোরিয়াম,বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্টসহ ছাত্র-ছাত্রীদের সংস্কৃতি চর্চার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মাধ্যম ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন। ইতিহাস আশ্রিত এই বাঙলা কলেজের নীতিবাক্য হলো 'হে প্রভু আমাকে জ্ঞান দাও'। 


আরও খবর


সরকারি বাঙলা কলেজে "বাঙলার ৬২" উদযাপন।

২৫৬ দিন ২২ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে






নবীনদের আগমনে উচ্ছ্বসিত সরকারি বাঙলা কলেজ।

৬২১ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে