বসন্তের হিমেল হাওয়ায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ঢেউ খেলছে গমের সবুজ শীষ। চেয়ে আছে আকাশ পানে। দানায় ভরপুর প্রতিটি শীষ।দিগন্তজোড়া মাঠে সবুজের সমারোহ গমের পরিপক্বতার অপেক্ষায় রয়েছে কৃষক। লাভের আশায় স্বপ্ন বুনছেন মনের আঙিনায়।কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ৯০০হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গমের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের জনপ্রতি ২০ কেজি উন্নত জাতের গমবীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চাষিদের কৃষক দল গঠন, নতুন জাতের গমের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন, আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ, সুষম সারের ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান ও বালাই দমন এবং হাইব্রিড জাতের বীজ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের মতো কাজ করে যাচ্ছেন তারা। ফলে গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, গম চাষে খরচ কম হয়। ভালো দাম ও ফলনের আশায় তিন বিঘা জমিতে (বারি গম ৩৩) চাষ করেছি। গমের ফলন ভালো হয়েছে আবহওয়া ভালো থাকলে এক মাসের মধ্য মাড়াই করবো।
ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ইশ্বর বড়ুয়া গ্রামের কৃষক আঃ জলিল জানান, উঁচু জমিতে গম ভালো হয়। গম গাছে রোগবালাই কম হয়। সেচসহ অন্যান্য খরচ কম লাগে। চার বিঘা জমিতে গম বুনেছেন। গম কেটে ওই জমিতে পাট চাষ করবেন তিনি। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, গম চাষের ত্রুটিমুক্ত রাখতে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় গম চাষের খরচ কম। দাম ভালো পাওয়ায় গত বছরের থেকে এবার গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।
৭৪৩ দিন ১৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৭৪৪ দিন ১৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৭৫০ দিন ৫ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৭৬৩ দিন ৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৭৮২ দিন ১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৭৮২ দিন ৫ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৭৮৩ দিন ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৭৮৩ দিন ৬ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে