ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না: খামেনি ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৫৮ শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা এম এ সাত্তারের মতবিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজে গণিতে শিক্ষক সংকট : পাঠদানে ধস, হতাশ শিক্ষার্থীরা চবি এলামনাই পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক! জাগো মুসলমান - আর. এম. কারিমুল্লাহ

কৈ এর তেলে কৈ ভুনা,,,, নাজমুন নাহার

ছবি - নাজমুন নাহার


নাজমুন নাহার :

মনের আবেগে লিখে যায় লেখক,,,নিজের সৃষ্টি কে কৃষ্টি তে রূপান্তরিত আপ্রাণ প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে প্রকাশ করতে চায় নিজস্ব পুস্তক। কিন্তু একটা নিজস্ব পুস্তক প্রকাশ করতে চাইলে তাকে ধরতে হবে, ঘুরতে হবে একজন প্রকাশকের পিছনে। আর ভালো প্রকাশক  বা ভালো প্রকাশনী পেতে গেলে তাকে প্রকাশকের  বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তার লেখার মান ভালো হতে হবে,, জাতীয় পত্রিকায় তার লেখা স্থান পায় কি না?,,, ইত্যাদি ইত্যাদি।

এরপর  আসছে অর্থের ব্যাপার যাঁরা লিখেন বেশির ভাগ লেখকের অর্থনৈতিক  স্বচ্ছলতা তেমন নেই, কিন্তু একটা ভালো মানের পুস্তক  বের করতে হলে খরচের হারটাও বাড়ে, যা বহন করতে পারে না অনেক লেখকই। তাই আশা-নিরাশার বাসা বেঁধে বুকের মধ্যেই লুকায়িত থাকে। পারে না তুলে ধরতে তার সৃষ্টিকে নিজস্বতার আবরণে জনসমুদ্রে। অর্থনৈতিক সংকট দূর করে কেউবা যদি পারেও স্বচ্ছতার অভাবে অনেক সময় অনেক প্রকাশক বায়না করা টাকা পুস্তক প্রকাশ না করে  নিয়ে গায়েব হয়ে  যায়।

তখন লেখকের কপাল চাপড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। এতসব বাধা-বিপত্তির হাত থেকে বাঁচতে লেখক চলে যায় বা অনেক সময় যেতে বাধ্য হয় লেখালেখির কারণে হোক বা পরিচিতির  কারণে হোক বা নিজের বুকের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে  রূপ দিতে যৌথ পুস্তকের  সীমানায় সম্পাদকের সুনজরে।যাঁরা সাহিত্য সংগঠন খুলে বসে আছেন মূলত  তারাই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

এবং জনগণের পরিচিতি লাভ করেন।  গল্প,কবিতা, টাকা সব দেয়া শেষ।  লেখক পুলকিত মনে অপেক্ষায় থাকে তার পুস্তক আসবে তার সৃষ্টিকে ছড়িয়ে দিবে বিশ্বের মাজারে। দিন যায় মাস আসে বছর গড়িয়ে যায় শেষ হয়ে যায় বইমেলা পুস্তক আর আসে না ঘরে হায়,,,এভাবে অনেক বইমেলা শেষ হয়ে যায়। এখানেও সেই স্বচ্ছতার অভাব।

এসব সম্পাদকের সংখ্যা খুব বেশি। খুব কম সম্পাদক আছেন যাঁরা  সঠিক সময়ে বইগুলো লেখকদের ঘরে পৌঁছায়। তাঁর স্বপ্নকে সফলতার শিখরে পৌঁছায়।অথচ লেখকের সৃষ্টি, টাকা দিয়ে নিজেদের নামের পিছনে সম্পাদকের  সাইনবোর্ড টা ঠিকই জুড়িয়ে দেন, সাহিত্য জগতের হোমরা-চোমরা বনে যান।

এদের মুখের মিষ্টতা এত বেশি যে  সহজ সরল লেখকরা অনায়াসে এদের ফাঁদে পড়ে যান, আর এরা ইচ্ছে মতো"  কৈ এর তেলে কৈ ভুনে যান" পরিশেষে সবার প্রতি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,,,প্রচলিত একটা কথা আছে,,,মক্কায় ও চোর আছে আর লঙ্কায় ও ভিখারি আছে। ভালো মন্দ নিয়ে মনুষ্য জগত।

লেখকের জায়গায় নিজের ছোট্ট একটা অবস্থানের সূত্রে প্রিয় লেখকদের উদ্দেশ্যে একটা  অনুরোধ রেখে যাই,,, নিজের সৃষ্টি যা আপনার সন্তান তুল্য তাকে এবং আপনার কষ্টার্জিত অর্থ দশজনের হাতে তুলে না দিয়ে,,, সেই দশজনের টাকা এক সাথ করে  নিজের একক একটা পুস্তক ভালো এবং বিশ্বস্ত প্রকাশকের  প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করুন,যার স্বত্বাধিকারী আর কেউ নয়, শুধু আপনিই থাকবেন।

আরও খবর