১৫আগষ্টে মাইজদী শহরে এমপি একরাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫০ হাজার লোকের র‌্যালী ও স্মরণসভা৷

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র‌্যালী করবে নোয়াখালী-৪ আসনে এমপি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য  একরামুল করিম চৌধুরী।

৯আগষ্ট নিজ বাড়ীতে সদর-সুবর্ণচর উপজেলার সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের দলীয় নেতাকর্মীদের একটি প্রস্তুতি সভায় এই ঘোষণা দেন একরাম চৌধুরী৷ এসময় সবাই একমত পোষণ করেন। পরে তিনি নিজ নামীয় ভেরিফাইড ফেইজবুক আইডিতেও এবিষয়ে একটি পোষ্ট করেন।

তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, এ শোক র‌্যালীতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। দলের দ্বিতীয় সারির নেতারা এমপি একরামুল কমির চৌধুরীর সাথে বেইমানি করলেও আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কখনো বেইমানি করবো না। আমরা উনাকে নিঃস্বার্থে ভালোবাসি। এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে সদর-সুবর্ণচর আসনের সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের জন্য প্রয়োজন।

উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১০ সালে ১৫ই আগষ্ট শোক দিবস উপলক্ষে ২১০ টি গরু জবাই করে সদর-সুবর্ণচর উপজেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে সর্বমহলে আলোচনায় আসনে। ঐসময়ে দেশটিভিতে লাইভ প্রোগ্রাম করে আলোচনায় আসেন৷  এছাড়াও ২০১৮ সালেও শোক দিবস উপলক্ষে সদর-সুবর্ণচরসহ ২ উপজেলায় ২ শতাধিক গরু জবাই করে ৪ লাখ দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে আলোচনায় আসেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী।

বুধবার কবিরহাট উপজেলায় নিজ বাড়ীতে ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৫০ হাজার দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে স্বরণকালের শোক র‌্যালী করার লক্ষে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছেন।

উক্ত প্রস্তুতি সভায় জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান একেএম সামসুদ্দিন জেহান, জিয়াউল হক মাওলা লিটন, নোয়াখালী জজকোর্টে পাবলিক প্রসিকিউটর ও জেলা আওয়ামী আইনজীবী সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. গুলজার আহম্মেদ জুয়েল, ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়াম্যান এ্যাড. সিদ্দিকুর রহমাম সাবু, নেয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুর, কাদির হানিফ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুর রহিম ও সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড. ওমর ফারুক, চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব এবং চর জুবলী ইউনিয়নের খালেদ সাইফুল্ল্যাহ খসরুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবুজ সংকেত পেয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। দলের হাই কমান্ড থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের বিষয়ে সবুজ সংকেত পেয়ে পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে আলোচনা করে নিজ আসন সদর-সুবর্ণচরের প্রতিটি ইউনিয়নের আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে চা-চক্র, উঠান বৈঠক, মতবিনিময়, আলোচনা সভা করে যাচ্ছেন। জেলা আ’লীগকে সু সংগঠিত করতে ও আগামী নির্বাচনে দলের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে প্রতিদিনই তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচীতে উপস্থিত হয়ে দিক নিদের্শনা দিয়ে যাচ্ছেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গত ১৫ বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিক চিত্র তুলে ধরেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নোয়াখালীর কৃতিসন্তান দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চান। আর এসব কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় নিজ দলের এমপিকে নৌকা মার্কায় বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন সদর-সুবর্ণচর আসনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ ভোটাররা।

তিনবারের নির্বাচিত এমপি একরামুল করিম চৌধুরী দলের কাছে নিজের অবস্থান ও জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে প্রতিদিন নিজ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নের তৃণমূল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের খোঁজ খরব নিতে ছুটে যাচ্ছেন । প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীরা এ দক্ষ সংগঠক একরামুল করিম চৌধুরীর ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ ও দুর্বল হয়ে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা সংগঠনের কাজে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

এবিষয়ে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতা এনেছেন। তার কারণে আমি সাধারণ ঘরে জন্ম নিয়েও জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। দেশ স্বাধীন না হলে কিছুই হতাম না, তাই তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্য প্রতিবছরের মতো এবারও এমন আয়োজন করেছি। তাছাড়া আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি আমৃত্যু পর্যন্ত জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে গেছেন। আমিও আমার বাবার মতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করছি। তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও প্রিয়নেতা ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আমি কাজ করি। আমি আমার নোয়াখালী জেলাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার চেয়ে শক্তিশালী করতে চাই। তাই আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে সাফল্য অর্জন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারবো।

নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম (পিপিএম, বিপিএম বার) দৈনিক নোয়াখালী সময় কে বলেন,১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য সাদা পোশাকধারী পুলিশসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।