শ্রীপুরে এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পলাতক। লালপুরে পদ্মার চরে চীনা বাদামের বাম্পার ফলন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী বৈঠক সম্পন্ন চাটখিলের কৃতি সন্তান টিপুর রেইনহ্যামে ক্রিকেট গল্প ডোমারে ইউএনআইপি'র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ডোমারে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল সিলগালা, গ্রেপ্তার-৩ আশাশুনিতে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি খোকন গাঁজাসহ গ্রেফতার মোংলা বন্দরে আসলো ভারত থেকে দুই জাহাজ চাল কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি টুমণ গ্রেফতার। গুচ্ছে নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে প্রাথমিক ভর্তির নিশ্চয়ন, ভর্তি শুরু ২২জুন বরিশালে কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলা চার শিক্ষার্থী আহত, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত ইসিকে জানান, সরকারের প্রতি সালাহউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় অনুষ্টিত সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা, অভাবে ধুঁকছে বনজীবিদের পরিবার সাতক্ষীরায় ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইটভাটা ব্যবসায়ীর ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা

বিশ্বে প্রথমবার ভয়ঙ্কর পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর যুক্তরাষ্ট্রে

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 26-01-2024 09:17:32 am

যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যে এক নারীকে হত্যাকারী কেনেথ ইউজেন স্মিথের মৃত্যুদণ্ড নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে কার্যকর হয়েছে। বিশ্বে এবারই প্রথম সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরে এমন পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলো।


স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৮টা ২৫ মিনিটে কেনেথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। খবর বিবিসির।


যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এবং নিম্ন আপিল আদালত এই আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো আসামিকে এভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নজির নেই।


কেনেথের আইনজীবীরা বলেছিলেন, এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিষ্ঠুরতা এবং অস্বাভাবিক শাস্তির সমান। তারা আরও বলেছেন, মাস্কের মাধ্যমে স্মিথকে যখন নাইট্রোজেন গ্যাস শুষে নিতে বলা হবে, তখন নিজের বমিতেই দমবন্ধ হয়ে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হবে তার।


১৯৮৮ সালে এক নারীকে মাত্র এক হাজার ডলারের চুক্তিতে হত্যা করেছিলেন স্মিথ এবং অপর এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির ২০১০ সালেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে ৫৮ বছর বয়সী স্মিথ ও তার সহযোগীকে ১৯৮৯ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।


গত সপ্তাহে এই আসামি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছিলেন, নিজের ভাগ্যে কী হবে সেটি নিয়ে অপেক্ষা করার বিষয়টি তার জন্য ‘নির্যাতনের’ সামিল। নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে এর আগে কখনো বিশ্বের কোথাও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।


জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠনও এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। সংস্থাটি দণ্ড কার্যকর স্থগিত করার দাবিও জানিয়েছে। স্মিথের আইনজীবীরা বুধবার হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালতে আপিল করেন। কিন্তু আদালতের বিচারকরা সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেন।


আইনজীবীরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা আছে, কাউকে নিষ্ঠুর এবং অমানবিক শাস্তি দেওয়া হবে না। কিন্তু অপরীক্ষিত এ পদ্ধতির মাধ্যমে স্মিথের সঙ্গে মূলত নিষ্ঠুরতা করা হবে। তারা জানিয়েছেন, মাস্কের মাধ্যমে গ্যাস শুষে নেয়ার পরই স্মিথের বমি শুরু হবে এবং এতে তার দমবন্ধ হয়ে যাবে।


তবে আলাবামার জেল কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, গ্যাস শুষে নেয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে স্মিথ জ্ঞান হারাবেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হবে। আলাবামা রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল স্টিভ মার্শাল একবার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘নাইট্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সবচেয়ে মানবিক পদ্ধতি।’


যুক্তরাষ্ট্রের বিষাক্ত ইনজেকশন দেয়ার মাধ্যমে এর আগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছ। কিন্তু সেই বিষাক্ত পদার্থের ঘাটতি দেখা দেয়ায় আলাবামা ও আরও দুটি রাজ্যে নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া গ্যাসের মাধ্যমে দণ্ড কার্যকরের পদ্ধতিকে বৈধতা দেয়া হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের তথ্য মতে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সারা বিশ্বেও কেনেথই প্রথম ব্যক্তি, যার মৃত্যুদণ্ড নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে কার্যকর হয়েছে।


আলাবামার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুটি অঙ্গরাজ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন আছে। এর কারণ হিসেবে রাজ্যগুলি কর্তারা বলছেন, প্রাণঘাতী ইনজেকশন পাওয়া অনেক সময় দুষ্কর হয়ে যায়, অনেক সময় সেটা অকার্যকরও হতে পারে, যেটা কেনেথের ক্ষেত্রে হয়েছে।


যেমন ছিল দণ্ড কার্যকরের মুহূর্তটি : বিবিসি জানায়, কেনেথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রত্যক্ষ করতে গণমাধ্যমের পাঁচজন প্রতিনিধিকে রাজ্যের হলম্যান সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেসময় তদন্ত ও আদালতের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। 


কেনেথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে তার মুখে বিশেষভাবে তৈরি একটি মাস্ক পরানো হয়। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের সুযোগ ছিল না। মাস্কটির সঙ্গে নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সংযোগ ছিল।


একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই মাস্ক পরানোর পর সেখানে গ্যাস ঢুকতে থাকলে কেনেথকে হাসতে দেখা যায়। সেসময় তিনি পরিবারের স্বজনদের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আমি তোমাদের ভালোবাসি’।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই থেকে চার মিনিট কেনেথের শরীর মোচড়াতে থাকে। পাঁচ মিনিটের মতো তিনি ভারী শ্বাস নিতে থাকেন। এরপর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


চিকিৎসকদের মতে, অক্সিজেন ছাড়া নাইট্রোজেনে শ্বাস নিলে দেহকোষগুলো ছিঁড়ে যায়, যাতে মানুষের মৃত্যু হয়।


এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর আলাবামার গভর্নর কাই আইভি একটি বিবৃতি দেন। তিনি এতে উল্লেখ করেন, শাসন ব্যবস্থার ৩০ বছরের চেষ্টায় কেনেথ তার ভয়ঙ্কর অপরাধের জবাব পেয়েছেন। আমি প্রার্থনা করি, এতগুলো বছর বেদনা বয়ে বেড়ানো এলিজাবেথের পরিবার যেন এবার একটু স্বস্তিবোধ করতে পারেন।

আরও খবর




684d400dd1c71-140625032533.webp
ইরানে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ

২ দিন ১৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে




6827242e36a5b-160525054030.webp
ফিলিস্তিন দখলের ৭৭ বছর পূর্ণ হলো

৩১ দিন ১১ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে