ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু

জনগণই আমার পরিবার, প্রয়োজনে নিজের রক্ত দেব: প্রধানমন্ত্রী

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 15-02-2024 06:24:35 am

১৯৮১ সালে দেশে ফেরার দিন কতটা ঝড়-ঝাপ্টাময় ছিল জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবেগাপ্লুত হয়ে জানালেন, দুই চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছিল ভাইদের। আমি তো তাদের পাইনি, পেয়েছিলাম সারি সারি কবর। সে কবর ছুঁয়ে শপথ করেছিলাম, স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না।


বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পরিবারকে হত্যার পর অসহায় হয়ে পড়ি। সে সময় রেহানার বিয়েতেও আমি যেতে পারিনি। কারণ, সেই আর্থিক সঙ্গতি ছিল না তখন। আমার একটা মাত্র বোনের বিয়ে, সেখানেও যেতে পারিনি। বাবা-মা হারা হয়ে বলতে গেলে এককভাবে তার বিয়ে হয়। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করি। কিন্তু তদন্ত হোক জিয়াউর রহমান চাননি। অপরাধীদের পুরস্কৃত করে রাজনৈতিক সুযোগ করে দেয়া হয়। কিন্তু এটাই সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ছিল। যুদ্ধাপরাধীদের যাদের পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিল ফিরিয়ে আনে জিয়াউর রহমান। যারা কারাগারে ছিল তাদের মুক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসানো হয়। ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি একটা প্রত্যয় নিয়ে। ‘যেদিন ফিরে আসি, সেদিন ৬০ মাইল বেগে ঝড় বয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ আমাকে বরণ করেছেন। তবে এয়ারপোর্টে এসেই আমার পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। যারা আমাকে এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে গিয়েছিল আমি তো তাদের পাইনি। পেয়েছিলাম শুধু সারি সারি কবর। সে কবর ছুঁয়ে শপথ করেছিলাম দেশের স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। আমার এ যাত্রাপথ সহজ ছিল না। নানান রকম ষড়যন্ত্র চলেছিল, এখনো রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি। জনগণই পরিবার, বাবা যেভাবে জীবন উৎসর্গ করেছেন, ঠিক সেভাবেই দেশের মানুষের প্রয়োজনে নিজের রক্ত ঢেলে দেবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, দলের নেতাকর্মীরা নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করে সংগ্রাম চালিয়েছে। তাই মানুষের সমর্থন আর ভালোবাসাই আমাদের প্রেরণা। আমি অসংখ্যবার মৃত্যুকে মুখোমুখি দেখেছি। আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমাকে রক্ষায় অনেকে নিজের জীবন দিয়ে গেছেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে আজকের এই বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এই দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আগে বিদেশের মানুষ বাংলাদেশের নাম শুনলে বলতো ভিক্ষা করে খায়, সাহায্য নিয়ে চলে। নেতিবাচক একটা ধারণা ছিল। আমার খুব কষ্ট হতো। কেন আমাদের অবহেলার চোখে দেখবে। দেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে যাতে বিশ্ববাসী সম্মানের চোখে দেখে সেই উদ্যোগে এগিয়েছি। এখন বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

আরও খবর