ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে জনতার ঢল! ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত সাবেক সংরক্ষিত এমপি’র বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবা-অস্ত্রসহ পুত্র আটক সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আজম কারাগারে কালাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চিকন আলী নামে এক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা নেতানিয়াহুর জন্য বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে পীরগাছায় মশাল মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় লালপুরের যুবকের মৃত্যু

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নতুন পদচারণা

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 28-09-2024 04:36:28 pm


• বিপুল দেব রায় || জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম সম্মেলনে যোগদান শেষে ঢাকায় ফিরছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের দাবি, বাংলাদেশের হয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া সরকার প্রধানদের সফরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফলতম হয়েছে এই সফর।


অবশ্য যথেষ্ট দৃঢ় যুক্তির ভিত্তিতেই এই দাবি করেছেন শফিকুল আলম। কারণ, মাত্র চার দিনের এই সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, আইএমএফের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জজিয়া মেলোনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সহ মোট ১২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। অংশ নিয়েছেন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনসহ ৪০টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে।


প্রসঙ্গত, নানা কারণে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল আগে থেকেই। প্রথমত, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।


দ্বিতীয়ত, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের একপ্রকার টানাপোড়েন চলছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করে আসছিল। 


ফলে এই সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি প্রেক্ষাপট হিসেবে দেখেছেন অনেক বিশ্লেষক। বাংলাদেশে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় এবারের অধিবেশন ছিল বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।


প্রধান উপদেষ্টার সফরকালীন কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, এই একটি সফর থেকে যা যা অর্জন বা প্রাপ্তির কথা ছিল তার প্রায় সবই পূরণ হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের আগে রোহিঙ্গা, পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কয়েকটি বৈঠক করেছেন তিনি।


রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কর্মসূচিকে গতিশীল করতে জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন তিনি। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নেপালের সঙ্গে জ্বালানি, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সঙ্গে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও একই ইস্যুতে বৈঠক করেছেন তিনি।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে যে বৈঠকটি তিনি করেছেন, সেটি প্রায় পুরোপুরি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা রপ্তানি শুল্ক কমানো এবং জিএসপি সুবিধা প্রদানে দাবি জানিয়েছেন ইউনূস। 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের চিত্র তুলে ধরেছেন এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত তরুণ প্রজন্ম তাদের পূর্বসূরীদের অনুসরণ করে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরতান্ত্রিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন ব্যবস্থাকে বিদায় জানিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণের ওপর নজর ছিল বিশ্বনেতাদের। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকটি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের কূটনীতিকরা বলেছেন, জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বৈঠক বিরল ঘটনা! আর বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল অনেকটা স্বপ্নের মতো, যা সম্ভব হয়েছে একমাত্র নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য।

আরও খবর