শ্রীপুরে এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পলাতক। লালপুরে পদ্মার চরে চীনা বাদামের বাম্পার ফলন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী বৈঠক সম্পন্ন চাটখিলের কৃতি সন্তান টিপুর রেইনহ্যামে ক্রিকেট গল্প ডোমারে ইউএনআইপি'র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ডোমারে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল সিলগালা, গ্রেপ্তার-৩ আশাশুনিতে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি খোকন গাঁজাসহ গ্রেফতার মোংলা বন্দরে আসলো ভারত থেকে দুই জাহাজ চাল কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি টুমণ গ্রেফতার। গুচ্ছে নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে প্রাথমিক ভর্তির নিশ্চয়ন, ভর্তি শুরু ২২জুন বরিশালে কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলা চার শিক্ষার্থী আহত, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত ইসিকে জানান, সরকারের প্রতি সালাহউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় অনুষ্টিত সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা, অভাবে ধুঁকছে বনজীবিদের পরিবার সাতক্ষীরায় ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইটভাটা ব্যবসায়ীর ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা

নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালত বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে ১ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে


মোহাম্মদ আবু নাছের, নোয়াখালী :

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলিকে (২২)  হত্যার ১৭ বছর পর তার স্বামী মঈন উদ্দিনের (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।


মামলার বিবরণে জানা যায়, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরী করতেন। বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে কৌশলে মঈন উদ্দিন ভুক্তভোগী বিবি ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাত্র এক দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন ফাতেমা। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট হত্যা করে ড্রেনে তার মরদেহ ফেলে রাখা হয়। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের মরদেহ ড্রেনে ভেসে উঠেছে। 

ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, মঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে তিন ১৬৪ ধারায় নিজের দায় স্বীকার করে জবান বন্দি দিয়েছেন। এরপর জামিন নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি পলাতক। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মঈন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। বাকি আসামীদের খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। 


নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বাবা মামলার বাদী ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ এ মামলার রায় হলো। কিন্তু আমার বাবা বেঁচে নেই। তিনি মারা গেছেন। রায়ে মাত্র একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায় সন্তুষ্ট নয়। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। 

আরও খবর