লালপুরে পদ্মার চরে চীনা বাদামের বাম্পার ফলন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী বৈঠক সম্পন্ন চাটখিলের কৃতি সন্তান টিপুর রেইনহ্যামে ক্রিকেট গল্প ডোমারে ইউএনআইপি'র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ডোমারে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল সিলগালা, গ্রেপ্তার-৩ আশাশুনিতে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি খোকন গাঁজাসহ গ্রেফতার মোংলা বন্দরে আসলো ভারত থেকে দুই জাহাজ চাল কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি টুমণ গ্রেফতার। গুচ্ছে নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে প্রাথমিক ভর্তির নিশ্চয়ন, ভর্তি শুরু ২২জুন বরিশালে কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলা চার শিক্ষার্থী আহত, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত ইসিকে জানান, সরকারের প্রতি সালাহউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় অনুষ্টিত সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা, অভাবে ধুঁকছে বনজীবিদের পরিবার সাতক্ষীরায় ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইটভাটা ব্যবসায়ীর ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে

কৃষিকাজে উৎসাহ দেয় ইসলাম

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 12-12-2022 02:02:44 am

সংগৃহীত ছবি

◾মুনীরুল ইসলাম 


জমি অনাবাদি ফেলে না রেখে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। জমির ব্যক্তিগত মালিকানা ইসলাম অনুমোদন করেছে এবং তা আবাদ করে চাষবাস করতে উৎসাহ জুগিয়েছে। দেশের কোনো ভূমি যেন পরিত্যক্ত বা অনাবাদি না থাকে, সে জন্য হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা জমি আবাদ করো। আর যে ব্যক্তি নিজে আবাদ করতে না পারে, সে যেন ভূমিটি অন্য ভাইকে দিয়ে দেয়, যাতে সে আবাদ করে ভোগ করতে পারে।’ (বুখারি) 


ইসলাম বর্গা চাষেরও অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি জমি সেচ, চারা রোপণ ও ফসল ফলানোর জন্য নিজের জমি অন্যের কাছে হস্তান্তর করে এবং বিনিময়ে উৎপাদিত পণ্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাইবারের লোকজনের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি করেছিলেন যে তারা উৎপাদিত গাছ বা ফল-ফসলের অর্ধেক দিয়ে দেবে।’ (মুসলিম) 

মানুষের সৃষ্টি মাটি থেকেই, আবার মাটিতেই একদিন মিশে যেতে হবে। এই মাটিতেই চাষাবাদ করে টিকে থাকতে হয় মানুষকে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রতিটি মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, পথ্য, শিক্ষা সরঞ্জাম, পানি, বিদ্যুৎ, যানবাহন—সবকিছুর মূল উপাদান কৃষির মাধ্যমেই আসে। আর কৃষিকাজ করা হয় ভূমিতে। ভূমি বলতে শুধু মাটিকেই বোঝায় না, বরং পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, সাগর, ভূগর্ভস্থ সম্পদ সবকিছুকেই বোঝায়। চারা উৎপাদন, রোপণ ও ফসল উৎপাদন করাই কৃষিবিদ্যা নয়; বর্তমানে পশুপালন, মৎস্যবিজ্ঞান এবং উদ্যান তথা স্বল্প পরিসরে ফুল, ফল, সবজি ইত্যাদির চাষও কৃষিবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত। 


বাংলাদেশের ভূমিকে আল্লাহ তাআলা উর্বর করে দিয়েছেন। ভূমি এ দেশের অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদ কাজে লাগিয়ে আমরা যত বেশি স্বনির্ভর ও স্বাবলম্বী হব, দেশও তত উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধ হবে। সুতরাং কৃষিকাজের প্রতি আমাদের তৎপরতা আরও বাড়ানো দরকার। সারা দেশের সব অনাবাদি ও পরিত্যক্ত ভূমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করা জরুরি। 


লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক