লালপুরে পদ্মার চরে চীনা বাদামের বাম্পার ফলন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী বৈঠক সম্পন্ন চাটখিলের কৃতি সন্তান টিপুর রেইনহ্যামে ক্রিকেট গল্প ডোমারে ইউএনআইপি'র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ডোমারে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল সিলগালা, গ্রেপ্তার-৩ আশাশুনিতে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি খোকন গাঁজাসহ গ্রেফতার মোংলা বন্দরে আসলো ভারত থেকে দুই জাহাজ চাল কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি টুমণ গ্রেফতার। গুচ্ছে নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে প্রাথমিক ভর্তির নিশ্চয়ন, ভর্তি শুরু ২২জুন বরিশালে কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলা চার শিক্ষার্থী আহত, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত ইসিকে জানান, সরকারের প্রতি সালাহউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় অনুষ্টিত সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা, অভাবে ধুঁকছে বনজীবিদের পরিবার সাতক্ষীরায় ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইটভাটা ব্যবসায়ীর ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে

শিশুর জ্বর : করণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বর্তমানে ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে, তাই শিশুর যত্নে বাড়তি মনোযোগ ও ভালোবাসা দেওয়া জরুরি। আজ জ্বর নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা সব শিশুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। আশা করি, এখানে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাবেন।

জ্বর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

১| ভাইরাসজনিত জ্বর সাধারণত ৩-৫ দিন স্থায়ী হতে পারে এবং এই সময়ে ১০২-১০৩°F পর্যন্ত জ্বর ওঠানামা করতে পারে। কখনো কখনো ১০১°F-এর নিচে না-ও নামতে পারে। তাই জ্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনেই এটি কেন কমছে না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই।

২|একদিনে জ্বর কমানোর কোনো ওষুধ বা ম্যাজিক চিকিৎসা নেই। ভাইরাসজনিত জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়, যদি না কোনো নির্দিষ্ট সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা প্রকাশ পেতে ৩ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

৩|জ্বরের সময় শিশুর খাবারে অরুচি দেখা দিতে পারে, যা স্বাভাবিক। এ অবস্থায় জোর করে খাওয়ানোর দরকার নেই। বরং শিশুকে তরল খাবার যেমন পানি, জাউ, স্যুপ, শরবত বা তার পছন্দের হালকা খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। তবে এমন কিছু দেবেন না যা বমি বা ডায়রিয়া বাড়াতে পারে। দিনে অন্তত ৪ বার প্রস্রাব হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করুন। যদি একদমই কিছু খেতে না চায়, প্রস্রাব কমে যায়, বারবার বমি হয় বা খিচুনি দেখা দেয়, তাহলে হাসপাতালে নিতে হবে।

৪|হালকা জ্বর (১০০-১০২°F) হলে শরীর মুছে দিন ও ওষুধ দিন। একবার জ্বরের ওষুধ দেওয়ার পর অন্তত ৪-৬ ঘণ্টা বিরতি দিতে হবে। সাপোজিটরি প্রয়োগ করলে অন্তত ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

৫|উচ্চমাত্রার জ্বর (১০২°F-এর বেশি) হলে বারবার সাপোজিটরি ব্যবহার না করাই ভালো। এটি সাময়িকভাবে জ্বর কমাতে পারে, তবে পুরোপুরি সেরে ওঠার সম্ভাবনা কম। প্রয়োজনে ৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার সাপোজিটরি না দিয়ে, ৪-৬ ঘণ্টা পর সিরাপ দিতে পারেন।

৬|জ্বরের ওষুধ বেশি মাত্রায় বা ঘন ঘন খাওয়ালে দ্রুত আরোগ্য হবে না। ভাইরাসের প্রকৃতি ও কার্যকারিতার ওপর জ্বরের স্থায়িত্ব নির্ভর করে।

৭|ওষুধের চেয়ে শিশুর সঠিক যত্ন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা পানিতে ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছে দিন, গরম ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করুন। ঘুমের সময় জ্বর থাকলেও শিশুকে জাগিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।

৮|জ্বর ১০০°F বা তার বেশি হলে তবেই ওষুধ দিন। শুধু গায়ে হাত দিয়ে গরম লাগলে, ৯৮-৯৯°F থাকলে বা শীত শীত লাগলে জ্বরের ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

৯|শিশুরা সাধারণত বেশি অ্যাসিডিটি অনুভব করে না, তাই প্রয়োজনে খালি পেটে জ্বরের ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।

১০| জ্বরের সময় শিশুর হালকা বমি হতে পারে, যা স্বাভাবিক। কিছু জ্বরের ওষুধেও বমি হতে পারে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে ওষুধ পরিবর্তন করা যেতে পারে। তবে ওষুধ খাওয়ার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে বমি হলে, ১৫-২০ মিনিট পর পুনরায় ওষুধ দিতে হবে।

মো.আজিজুলহক আজিজ।ডিপ্লোমা মেডিসিন সাইন্স(DMS)

আরও খবর
রক্তদাতার যে বিষয় গুলো মেনে চলা জরুরী

১ দিন ১৬ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে