লালপুরে পদ্মার চরে চীনা বাদামের বাম্পার ফলন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী বৈঠক সম্পন্ন চাটখিলের কৃতি সন্তান টিপুর রেইনহ্যামে ক্রিকেট গল্প ডোমারে ইউএনআইপি'র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ডোমারে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল সিলগালা, গ্রেপ্তার-৩ আশাশুনিতে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি খোকন গাঁজাসহ গ্রেফতার মোংলা বন্দরে আসলো ভারত থেকে দুই জাহাজ চাল কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি টুমণ গ্রেফতার। গুচ্ছে নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে প্রাথমিক ভর্তির নিশ্চয়ন, ভর্তি শুরু ২২জুন বরিশালে কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলা চার শিক্ষার্থী আহত, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত ইসিকে জানান, সরকারের প্রতি সালাহউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় অনুষ্টিত সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা, অভাবে ধুঁকছে বনজীবিদের পরিবার সাতক্ষীরায় ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইটভাটা ব্যবসায়ীর ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে

কেচোঁ সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কচুয়ার শহীদুল্লাহ্

চাঁদপুরের কচুয়ায় কেঁচো সার (ভার্মিং কম্পোস্ট) উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী (৬৬)। কেঁচো সার উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন সৌদি আরবের খেজুরের বাগানসহ সমন্বিত কৃষি খামার। কেঁচো সার উৎপাদনে এখন মাসে আয় করেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।


কচুয়া পৌরসভার কোয়া চাঁদপুর গ্রামের কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী বাড়ির উঠানে দোচালা টিনের ঘরের নিচে স্থাপন করা হয় রিং স্ল্যাব। কৃষি অফিস থেকে প্রথমে ৪টি সিমেন্টের তৈরি রিং সø্যাব দিলেও পর্যায়ক্রমে কৃষক ১২২টি রিং স্ল্যাব তৈরি করে কেচোঁ সার উৎপাদন করেন। পরবর্তীতে হাউজের মাধ্যমে বর্তমানে কেচোঁ সার উৎপাদন করছেন ।



এসব রিং সø্যাবে তিন বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন তিনি। রিং সø্যাবে গোবর, মুরগির বিষ্ঠা ও কলাগাছ টুকরা টুকরা করে কেটে মিশ্রণ করা হয়। সব রিং সø্যাবে ছেড়ে দেয়া হয় কেঁচো। তারপর চটের বস্তা দিয়ে রিং স্যাবে ঢেকে রাখা হয়।


জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে পাওয়া ৪টি রিং এবং বাকি রিংগুলো নির্জ খরচে ও কেঁচো দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি শুরু করেন। প্রতি কেজি সার ২০ টাকা ও কেচোঁ ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এছাড়া কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী কেচোঁ সার উৎপাদনের পাশাপাশি মুরগীর ফার্ম ও বস্তায় আদা চাষ করেন। এদিকে কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী উৎপাদিত কেঁচো সার স্থানীয় কৃষকদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।



স্থানীয় কৃষকরা জানান, শহীদুল্লাহ মুন্সীর কেঁচো সার ফসলে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছি। পাশাপাশি তার সমন্বিত কৃষি খামার আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। তারা আরো বলেন, আমাদের দেশে যে হারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ছে, তাতে ধানের চাষ করে লাভ হয় না। তাই রাসায়ানিক সারের পরিবর্তে এখন কেচোঁ সার ব্যবহার করছি।


কেচোঁ সার উদ্যোক্তা শহীদুল্লাহ মুন্সী জানান, প্রথম দিকে কিছুটা কষ্ট হলেও এখন আর পিছনে তাকাতে হয়নি। কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শে বাড়িতে আমি কেচোঁ সার উৎপাদন করি। কেচোঁ সার উৎপাদনে আমার স্ত্রী আমাকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে থাকেন। প্রতি মাসে যে টাকা আয় তাতে আমার সংসার চলে যায়। কেচোঁ সার উৎপাদন করে এখন আমি সাবলম্বী।



উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট সার ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী একটি সার। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে এ সারের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। সেই সঙ্গে উৎকৃষ্ট মানের ভার্মিং কম্পোস্ট সার প্রস্তুতে খামারিদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে আসছি। স্থানীয় কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সীর এরই মধ্যে ভার্মি কম্পোস্ট সার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে যারা বেকার ও হতাশ যুবকদের জন্য প্রকৃষ্ট উদাহরণ স্বাবলম্বী প্রবীণ কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী।

আরও খবর
কচুয়ায় দেশীয় খাশি পালনে ২ ভাইয়ের সফলতা

১৪ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে