প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে আমরা প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি। এর ফলে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি এগোতে পারি, তাহলে এই দেশ আর পিছিয়ে যাবে না। কাজেই একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সাথে আছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও আমরা কখনও সহ্য করব না। যারা আন্দোলন সংগ্রাম করতে চায় করুক, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।
সোমবার (৩১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সমর্থন করেনি। তাদের মনের বৈরিতা কিন্তু এখনও কেটে যায়নি। কিন্তু সেটা অতিক্রম করেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সেজন্য মুখ গোমরা করে থাকা আমি দেখতে চাই না। সবাইকে হাসি-খুশি দেখতে চাই। যেটুকু মানুষের জীবনে সমস্যা আসে, সেটা অতিক্রম করার জন্য মনোবল ও শক্তি দরকার হয়। সেই শক্তি নিয়ে চললে বাংলাদেশ সবসময় এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করাই ছিল জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য। নানান প্রতিকূলতার মাঝেও একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি যে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর এটা নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা যদি তিনি করে যেতে পারতেন, তাহলে স্বাধীনতার মাত্র ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, যে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ঠিক পাকিস্তানি কায়দায়, যেভাবে আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করেছিল। সেনা মোতায়েন থেকে শুরু করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা, সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল জারি এবং অবৈধভাবে অস্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল। যার ফলে দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে সারাদেশে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র করেছিলাম। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ এসব কেন্দ্র থেকে যারা সেবা নেবে তারা নাকি সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। মানুষের কথা তারা চিন্তা করেনি। তাদের চিন্তা ছিল ভোটের। ভোটের চিন্তা করতে গিয়ে মানুষের সেবা থেকে তারা বিচ্যুত হয়ে যায়। এর ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল বিএনপি জোট। বাকি সিটগুলো আমরা পাই এবং সরকার গঠন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি নিজেও যখন বিদেশে যখন কোনো সেমিনারে অংশ নিয়েছি বা কোথাও গিয়েছি, তখন তারা বাংলাদেশ নাম শুনলেই বলতো, অহ বাংলাদেশ তো দুর্যোগের দেশ, বাংলাদেশ তো গরিব। বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের একটা বিরূপ ধারণা ছিল। যেটা সত্যিই খুব কষ্ট দিত। আমরা তো বিজয়ী জাতি, আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব, কেনো আমরা মাথা নিচু করে চলব। সেই প্রত্যয় নিয়েই বাবা-মা-ভাই সব হারিয়ে সেই ব্যথা-বেদনা বুকে নিয়ে আমার একটাই লক্ষ্য এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব। আজকে আমি আনন্দিত যে, অন্তত আমরা দারিদ্রের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ তে নামিয়ে এনেছি। ইনশাআল্লাহ আরও কমবে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
২৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে